স্বাভাবিক ভাবেই গত কয়েক দিন থেকে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে বাড়ছে তিস্তা নদীর জলস্তর। তবে কথায় আছে ক্ষুধার কাছে হার মেনে নেয় পৃথিবীর বড় বিপদও। এই কথার বাস্তব রূপ দেখা গেলজলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর অঞ্চলের ছোটো চৌধুরী পাড়ায়।
আরও পড়ুন ঃ হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে জল, তুমুল সতর্কতা জারি, এরপর কী হবে আশঙ্কার মেঘ
advertisement
ভোর রাত থেকেই এই পাড়ায় যেন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে আট থেকে আশি। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা তিস্তার ঘোলা জলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একদল মানুষ। লক্ষ্য পাহাড় থেকে জলের স্রোতে ভেসে আসা কাঠ নিজের হেফাজতে নেওয়া।
গ্যাস থেকে কয়লা জ্বালানির মূল্য যখন আকাশ ছুঁয়েছে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংসারের পেট ভরাতে নদীর স্রোতের বিপরীতে গিয়ে চলছে ভাসমান কাঠ ধরার সংগ্রাম। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, দীর্ঘ সময় পর তিস্তায় এত খড়ি ভেসে আসলো, অনেকেই কয়েক মাসের জ্বালানি পেয়ে গেলো তিস্তার ঘোলা জলে।
অপরদিকে তিস্তা পাড়ের চৌরঙ্গী পাড়ার মইনুল মুখে একগাল হাসি ফুটিয়ে জানায়, এবারে অনেক কাঠ ভেসে এসেছে। প্রায় দশ হাজার টন তো হবেই। দশ হাজার টন হক বা মাত্র দশ টন, সিকিমে যখন তিস্তার জলস্রোতের দাপটে বিধ্বস্ত একের পর এক গ্রাম, ঠিক সেই সময় সমতলের বিপজ্জনক তিস্তার কৃপায় খুশি এক শ্রেণীর সাধারণ জনতা।
সুরজিৎ দে