এই কয়েকদিন ধরে প্রত্যেকটি পাড়ার দোকানে দোকানে ঝুলছিল দলীয় পতাকা। ভোট শেষ হল, এরপরই নিজের ছন্দে ফিরল শহর শিলিগুড়ি। রবিবার ছুটির দিন, বরাবরই রাস্তা ফাঁকা থাকে। তবে এদিন যেন সব থমথমে ছিল। খুলে ফেলা হচ্ছিল সমস্ত পতাকা ও দলীয় ফেস্টুন।(Siliguri Elections)
ভোটের পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ছিল ছুটির দিন। রাস্তা-ঘাট শুনশান হয়ে পড়ে। কেমন যেন চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতদিনের আয়োজনের পর শহর ফিরেছিল নিজের ছন্দে। শহরের ভবিষ্যৎ লেখা হচ্ছিল তখন। শিলিগুড়ি বরাবরই শান্তিপ্রিয় শহর নামেই পরিচিত। সেখানে ভোটের দিন বিক্ষিপ্তভাবে উত্তেজনা থাকলেও বাড়াবাড়ি বা উল্লেখযোগ্য কিছুই হয়নি। ভোটের পরের দিনও নজির গড়ল শহর। রাস্তায় নামতেই দেখা গেল খোলা হচ্ছে সমস্ত দলীয় পতাকা (Siliguri Elections)। দায়িত্ব সহকারে শহরের গা থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে সেই চিহ্নগুলি।
advertisement
এদিন বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখলাম আমরা। একেই ছিল রবিবার, তার উপর আবার ভোটের পরের দিন। ক্লান্ত ভোটকর্মীরা বিশ্রাম নিচ্ছেন, প্রার্থীরা অপেক্ষায় ফলাফলের এবং ভোটাররা শহরের অভিভাবক কে হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায়। দেখা গেল, রাস্তা এবং বিভিন্ন দোকান থেকে খুলে নেওয়া হচ্ছে দলীয় পতাকা। পাড়ায় পাড়ায় নেই আর সেই জমায়েত, আড্ডা কিছুই।
শহরে দলীয় পতাকাগুলি খুলতে ব্যস্ত ছিলেন এক কর্মী। তিনি আমাদের জানান, নির্দেশ এসেছে দলীয় পতাকা খোলার। তাই এই কাজ চলছে শহরজুড়ে।
এদিন অনেক কষ্টে দেখা মিলল ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিভা সাহার। তিনি বাড়ির বাইরে দুপুরের খাবার সেরে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। বলেন, "এখন আর সেই উত্তাপ নেই। রবিবারের দুপুর। তাই একটু দেরিতেই খাওয়া দাওয়া করে পায়চারি। ভোট নিয়ে আমার কোনও উত্তেজনা ছিল না। কাল ভোট দিয়ে এসেছি। একটা জিনিসই চাই। সেটা হল শহরের উন্নয়ন।" বিভাদেবীর কথা শুনেই বেরিয়ে এলেন তাঁর ছেলে সমীরণ। বলেন, "শহর বরাবরই শান্তি বার্তা দিয়ে এসেছে। ভোট দিতে গিয়ে কোনও ঝামেলার মুখে পরতে হয়নি। তবে একটা কথাই বলব, যেই আসুক না কেন, তাঁর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ শহরের উন্নয়ন।"
Vaskar Chakraborty