মাটির মালসা, প্রদীপ, ঘট তৈরিতে ব্যস্ত পাল পাড়ার বেশির ভাগ মানুষ। আঙ্গুলের চাপে এবং কোমল ছোঁয়ায় নরম মাটি রূপ নেয় পুজোয় ব্যবহারের নানান সরঞ্জামের।
মাটি-সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি হলেও বর্তমানে বাজারে যেমন চাহিদা তাতে লাভের মুখ দেখতে পাবেন না এমনটাই জানালেন মৃৎ শিল্পী শুভঙ্কর পাল। নিজেদের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‘আমাদের কোনও সরকারি সাহায্য জোটে না। মাটির জিনিস আগে থেকে তৈরি করে রাখতে পারলে লাভের অংশ বেশি হয়। তবে রাখার জায়গা নেই, তবুও বাপ, ঠাকুরদার পেশা তাই হাজার সমস্যার মাঝেও মাটির সরঞ্জাম তৈরি করে টিকিয়ে রাখছি বংশের নাম।’’
advertisement
দু’ বছর করোনা কাল কাটিয়ে উঠে এবছর মৃৎশিল্পীদের মুখে হাসি অনেকটাই চওড়া। পুজোর সংখ্যা যেমন বেড়েছে তার সঙ্গে বড় বড় পুজোর আয়োজকদের বাজেটও বৃদ্ধি পেয়েছে । বিশ্বকর্মা থেকে শুরু হয়ে দুর্গা পুজো, কালীপুজো এমনকি ছট পুজো পর্যন্ত মাটির সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত থাকেন ময়নাগুড়ির সিঙ্গীমারী গ্রামের পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিষধর সিন্ধু কালাচ সাপ! দাঁড়াসের মতো দেখতে! বিরল সাপ নিয়ে শোরগোল
মাটির দাম বেশি হলেও বায়না বেশি হয়েছে। দুর্গাপুজায় যেসব জিনিসপত্র দরকার হয়। যেমন- থালা, ঘট , মালসা, প্রদীপ থেকে শুরু করে হাঁড়ি সমস্ত কিছুর ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে এবারে। শুধুই যে বড় পুজো কমিটিগুলো এই মাটির সরঞ্জামের ক্রেতা তা নয়। ডুয়ার্স, শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারদের ঢল নেমেছে পাল পাড়ায়, নিজেদের খরচে গাড়ি ভরে নিয়ে যাচ্ছে মাটির সামগ্রী।
সুরজিৎ দে





