জানা গেছে, শুক্রবার মধ্যরাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ির কাছে ৩১ডি জাতীয় সড়কে যৌথ অভিযান চালায় শিলিগুড়ির স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাককে আটক করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ট্রাক থেকে উদ্ধার হয় ৭০ হাজার নেশার ট্যাবলেট ইয়াবা। ট্রাকের ভেতরে একটি গোপন চেম্বার তৈরি করে অসম থেকে এনে কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। উদ্ধার হওয়া ইয়াবার বর্তমান বাজার দর আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে ট্রাক চালক ও খালাসিকে। এদিন ধৃতদের তোলা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে।
advertisement
অন্যদিকে, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও নেশার ট্যাবলেট সহ শিলিগুড়িতেও গ্রেফতার ৩। নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ও প্রচুর সংখ্যক নেশার ট্যাবলেট সহ তিন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি (মেট্রোপলিটন) পুলিশ কমিশনারেটের অধীন ভক্তিনগর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ভক্তিনগর থানা এলাকা থেকে পুলিশ তিন যুবককে আটক করে তল্লাশি চালায়। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ৫০ বোতল কাফ সিরাপ, ১০৪ টি নেশার ক্যাপসুল ও ১৯০ টি নেশার ট্যাবলেট।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত তিন যুবক শিলিগুড়ির বাঘাযতীন কলোনীর বাসিন্দা দীপঙ্কর কর্মকার, মালবাজারের বাসিন্দা বাপি কর ও চম্পাসরির বাসিন্দা যোগেন্দ্র ছেত্রী। এদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা করা হয়েছে। এরা শিলিগুড়িতে বিক্রির উদ্দেশ্যে নেশার সামগ্রী মজুত করেছিল। ধৃত তিন মাদক কারবারীকে এদিন তোলা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে।
তবে এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। বলাবাহুল্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাটকীয়ভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়ে কোটি টাকা ইয়াবা পাচারচক্রের কিং পিন। মণিপুর থেকে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একটি ড্রাগ পাচারচক্রের করিডোর তৈরি হয়েছিল তার পরিকল্পনাতেই। রাকেশ শ' নামে পোস্তার সেই ব্যবসায়ীকে ফাঁদ পেতে ধরেছিল জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানার পুলিশ।
Vaskar Chakraborty