রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষক সিদ্ধার্থ দত্তের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষারত্ন পুরস্কার ও সাম্মানিক অর্থ। সেই শিক্ষারত্ন পুরস্কার ও সম্মানিক অর্থ তিনি নিজের বিদ্যালয়কে উৎসর্গ করেছেন। শিক্ষারত্নের প্রাপ্ত অর্থ থেকে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের সুবিধার্থে স্কুলে প্রদান করেছেন স্মার্ট টিভি ও প্রিন্টার। ২০০৩ সালে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই প্রত্যন্ত এই গ্রামীন স্কুলের নাম জেলা থেকে রাজ্যস্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন তিনি। কখনো নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কখনো আবার বিভিন্ন জায়গায় সাহায্য চেয়ে সাজিয়ে তুলেছে স্কুলকে।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্বালানি, সোনার দামে কি মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দেবেন নির্মলা?বিশেষজ্ঞরা বলছেন উল্টো
তাঁর প্রচেষ্টায় স্কুলের আমুল পরিবর্তন ঘটেছে। যেকোন বেসরকারি স্কুলকে টক্কর দিতে প্রস্তুত দক্ষিণ খয়েরবাড়ি অতিরিক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলে রয়েছে, ঝাঁ চকচকে ক্লাস রুম, রয়েছে ডিজিটাল পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা, ফুলবাগান ,সবজি বাগান, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৌচালয়, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন সামগ্রীর প্রদর্শনীর সংগ্রহশালা। এছাড়াও স্কুলের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে স্কুলে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: ২০২৩-এর বাজেটে ৩৫টি সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা
কাজের নিরিখে এই স্কুল পেয়েছে ২০১৬ সালে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার,২০১৮ সালের মডেল স্কুল ও জেলার সেরা শিশু মিত্র পুরস্কার ও স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার। যার জন্য এই এত কিছু সেই শিক্ষক শিক্ষারত্ন সিদ্ধার্থ দত্ত বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার এই স্কুলের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জেলা থেকে রাজ্যস্তরে এই স্কুলের নাম পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষারত্ন পুরস্কার স্কুলকেই উৎসর্গ করেছি। আগামী দিনে স্কুলের জন্য আরো ভালো কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই। পরিকল্পনা রয়েছে স্কুলে সোলার প্যানেল বসানো।
সুরজিৎ দে