আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে পড়ে ইঁদুরের মল! অভিভাবকদের দেখেই দৌড় মহিলা কর্মীর
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নাজির পাড়ার ১৬০ নম্বর বুথে সিপিএমের প্রার্থী ছিলেন গৌরী রায় শীল। তাঁর স্বামী মিলন রায় এলাকার সিপিএম নেতা। তাঁরা ভোট প্রচারে বেরিয়ে দেখেন এক স্বামীহারা অসহায় বৃদ্ধা ছেলেমেয়েকে নিয়ে এলাকারই একটি স্কুলের বারান্দায় কোনরকমে দিন কাটাচ্ছেন। তার নিজস্ব মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বর্ষাকালে স্কুলের ছাদ চুঁইয়ে পড়া জলে চারিদিক জলমগ্ন। তার মধ্যেই কোনরকমে বসবাস করছেন। অথচ এমন একজন অসহায়কে আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়নি। কার্তিক রায়, গৌরী রায়রা তখনই ঠিক করে নেন, ভোটের পর তাঁরা ওই অসহায় মহিলার মাথা গোঁজার একটা ব্যবস্থা করে দেবেন। ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায় গৌরীদেবী সেখানে জয়ী হয়েছেন। এরপরই কাজে নেমে পড়েন তিনি।
advertisement
ভোটের ফল প্রকাশের পর কার্তিক রায়, গৌরী রায় শীলরা এলাকার সিপিএম নেতাকর্মীদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওই অসহায় বৃদ্ধার জন্য ঘর তৈরি করে দিলেন। এই ঘটনার কথায় জানাজানি হতে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ। আবাস যোজনার ঘর না পাওয়াকে গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যে ঘর তৈরি করে দিতে পারেন তা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।
সুরজিৎ দে