জলের অভাবে পাট জাঁক দিতে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা কিছুদিন আগে।এবার তুলতে গিয়ে দেখছেন, পাটের রঙ কালো হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আগামীতে পাট চাষ করবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গে লাগাতার বেড়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। আর অসময়ে চলছে বৃষ্টি। বৃষ্টির অভাবে পাট জাক দেওয়ার সময় হলেও তা করতে পারছেন না কৃষকরা, এটা ছিল কিছুদিন আগের সমস্যা। আর এবার সামান্য বৃষ্টিতে পাট জাক দিতে পারলেও পাটের মান দেখে কপালে হাত চাষীদের। প্রচন্ড দাবদাহে খাল বিল পুকুর সমস্ত কিছুই শুকিয়ে গিয়েছিল এবার। ফলে পাট অনেকটাই নষ্ট হয়েছে জমিতে। এমনকি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে রাস্তার পাশে থাকা নায়নজুলি গুলো ভরাট করে দিয়েছে সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে একসময় যেখানে চাষীরা পাট জাক দিতেন চলতি সময়ে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার দরুন ছোট ছোট ডোবা গুলিতেও জল শুকিয়ে আরও সমস্যা তৈরি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চরম ব্যস্ততা কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের! দুই বছর বাদে প্রতিমা পাড়ি দিতে চলেছে বিদেশে
চাষীদের কথায়, বাজারে পাটের মান খারাপ হওয়ায় বাজার দর খুবই সামান্য। তাঁদের অভিযোগ, পাট চাষ করতে বিঘায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। সেই খরচ তোলাই এখন দায়। এরকম পাট কি করে বিক্রি করব?
আরও পড়ুন: চড় খেয়েছিলেন সইফ থেকে কপিল শর্মা সকলেই, বলিউডে চর্চায় তিনু বর্মা
এক চাষীর কথায়, "কালো কিংবা বাদামি রঙের পাট হয়েছে। যেগুলো বাজারে বিক্রি করলে বাজার দর খুবই কম। যে পরিমান খরচ করে পাট চাষ হয়েছে তা উঠবে না।" ফলে পাট চাষে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান চাষীরা। ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা এলাকার কয়েকশো বিঘা পাট চাষ করলেও সমস্যায় তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় বলেন, " বৃষ্টির অভাবে পাট নষ্ট হয়ে গেল। আর অসময়ে প্রবল বৃষ্টি হল"
গীতশ্রী মুখার্জি