TRENDING:

Jalpaiguri News: পুজোর আগে মন খারাপ পাট চাষীদের! অনাবৃষ্টিই চিন্তার কারণ এই মরশুমে

Last Updated:

জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে পাটের মান দুর্বিসহ, খরচ না ওঠা নিয়ে চিন্তায় চাষীরা।বৃষ্টির অনিয়মে মাথায় হাত পাট চাষীদের। পুজোর ঠিক আগে পাটের দাম নেই মান খারাপ বলে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জলপাইগুড়ি: বৃষ্টি অনিয়ম হওয়ায় মাথায় হাত পাট চাষীদের। পুজোর ঠিক আগে পাটের দাম না ওঠায় সমস্যায় রয়েছেন জেলার প্রায় একশ পাটচাষী। এর মূল কারণ, পাটের মান খারাপ হয়ে যাওয়া। অসময়ে প্রবল বৃষ্টি আর বর্ষায় বৃষ্টির অভাবে ডুয়ার্সের পাটচাষ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গত দুই একদিনে যেটুকু বৃষ্টি হয়েছে তাতেও কিছুই সুবিধা হচ্ছেনা। তবুও বাধ্য হয়েই সেই জলেই পাট ছাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন পাট চাষীরা। অসময়ে অতিবৃষ্টি, আর মরশুমে অনাবৃষ্টি। অনিয়মিত বৃষ্টিতে এক কথায় নাজেহাল জেলার পাটচাষীরা। পাট উঠলেও তার মান এতটাই খারাপ যে খরচ উঠবে কি না সেটা নিয়েই সন্দেহ এখন চাষীদের। পুজোর আগে স্বাভাবিক কারণেএই দুশ্চিন্তায় চাষীরা। পাট চাষের লাভ থেকে পুজোর মরশুমে আনন্দ করেন তাঁরা। কিন্তু এবছর সেটাই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ফেলছে পাট চাষীদের।
advertisement

জলের অভাবে পাট জাঁক দিতে সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা কিছুদিন আগে।এবার তুলতে গিয়ে দেখছেন, পাটের রঙ কালো হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আগামীতে পাট চাষ করবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন তাঁরা। উত্তরবঙ্গে লাগাতার বেড়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। আর অসময়ে চলছে বৃষ্টি। বৃষ্টির অভাবে পাট জাক দেওয়ার সময় হলেও তা করতে পারছেন না কৃষকরা, এটা ছিল কিছুদিন আগের সমস্যা। আর এবার সামান্য বৃষ্টিতে পাট জাক দিতে পারলেও পাটের মান দেখে কপালে হাত চাষীদের। প্রচন্ড দাবদাহে খাল বিল পুকুর সমস্ত কিছুই শুকিয়ে গিয়েছিল এবার। ফলে পাট অনেকটাই নষ্ট হয়েছে জমিতে। এমনকি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারণে রাস্তার পাশে থাকা নায়নজুলি গুলো ভরাট করে দিয়েছে সড়ক কর্তৃপক্ষ। ফলে একসময় যেখানে চাষীরা পাট জাক দিতেন চলতি সময়ে তা আর সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার দরুন ছোট ছোট ডোবা গুলিতেও জল শুকিয়ে আরও সমস্যা তৈরি হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন: চরম ব্যস্ততা কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের! দুই বছর বাদে প্রতিমা পাড়ি দিতে চলেছে বিদেশে

চাষীদের কথায়, বাজারে পাটের মান খারাপ হওয়ায় বাজার দর খুবই সামান্য। তাঁদের অভিযোগ, পাট চাষ করতে বিঘায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। সেই খরচ তোলাই এখন দায়। এরকম পাট কি করে বিক্রি করব?

advertisement

View More

আরও পড়ুন: চড় খেয়েছিলেন সইফ থেকে কপিল শর্মা সকলেই, বলিউডে চর্চায় তিনু বর্মা

এক চাষীর কথায়, "কালো কিংবা বাদামি রঙের পাট হয়েছে। যেগুলো বাজারে বিক্রি করলে বাজার দর খুবই কম। যে পরিমান খরচ করে পাট চাষ হয়েছে তা উঠবে না।"  ফলে পাট চাষে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান চাষীরা। ময়নাগুড়ির মাধবডাঙ্গা এলাকার কয়েকশো বিঘা পাট চাষ করলেও সমস্যায় তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা অমল রায় বলেন, " বৃষ্টির অভাবে পাট নষ্ট হয়ে গেল। আর অসময়ে প্রবল বৃষ্টি হল"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দশমীতে রাবণ বধ! ১০১'তম বছরে 'মিনি ইন্ডিয়া'য় জ্বলল লঙ্কাধীস
আরও দেখুন

গীতশ্রী মুখার্জি

বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Jalpaiguri News: পুজোর আগে মন খারাপ পাট চাষীদের! অনাবৃষ্টিই চিন্তার কারণ এই মরশুমে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল