৬৬ বছর বয়সী ক্লাইভ জোন্স গত ১০ বছর ধরে স্পার্ম ডোনেশনের (Sperm Donor) কাজ করছেন। তার এই কাজে তিনি এ পর্যন্ত ১২৯ সন্তানের জৈবিক পিতা হয়েছেন এবং শীঘ্রই আরও ৯ সন্তানের জন্ম হতে চলেছে, যার ফলে তিনি মোট ১৩৮ সন্তানের পিতা হবেন। ক্লাইভ বলেছেন যে সংখ্যাটি ১৫০ করার পরে, তিনি এই কাজকে বিদায় জানাবেন। তবে কাজটি খুব একটা সহজ কাজ নয়।
advertisement
আরও পড়ুন: উল নয়, নুডলস দিয়ে স্কার্ফ বুনছেন মহিলা, মুহুর্তেই ৭০ লাখের বেশি ভিউ, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ক্লাইভ আনুষ্ঠানিকভাবে স্পার্ম ডোনার (Sperm Donor) হতে পারেন না, কারণ আমেরিকায় দাতা হওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ৪৫ বছর। এ কারণে, যাঁরা স্পার্ম গ্রহণ করতে চান, তাঁরা ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁরা ক্লাইভের সঙ্গে যোগা।যোগ স্থাপন করেন এবং তাদের চাহিদা পূরণ করার কথা জানান। বড় কথা হল তারা এই পরিষেবার জন্য টাকা নেন না ক্লাইভ। তিনি বলেন, কাউকে সুখ দিয়ে, কারওর সংসার গুছিয়ে তিনি সুখ পান। ৯-১০ বছর আগে সংবাদপত্রে একটি নিবন্ধ পড়ে তিনি এই ধারণাটি পেয়েছিলেন যখন তিনি দেখেছিলেন যে সন্তান ছাড়া মানুষকে কত মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
আরও পড়ুন: স্রোতে ভেসে যাচ্ছে হরিণ শাবক, বাঁচাতে জলে ঝাঁপ পোষ্য কুকুরের! দেখুন ভাইরাল ভিডিও
ক্লাইভের এই কর্মকাণ্ডে সতর্কতা জারি করেছে হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজি অথরিটি। প্রকৃতপক্ষে, ক্লাইভ তার ভ্যান থেকে শুক্রাণু দানের কাজ চালান কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নির্দেশ রয়েছে, যে সমস্ত দাতারা শুক্রাণু দানের কাজ করবেন, তাঁরা শুধুমাত্র আমেরিকায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত ক্লিনিকের মাধ্যমে তা বিক্রি বা ক্রয় করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লিনিকের পরিচালনার মাধ্যমে দাতা এবং গ্রাহক উভয়কেই স্পার্ম দানের প্রভাব এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা যেতে পারে।