আরও পড়ুন-Optical Illusion: ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে সবাই দেখছেন আলাদা আলাদা নম্বর, আপনি কী দেখলেন?
জানা গিয়েছে, লন্ডনের ওই যুবক কয়েকদিন আগে রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁ থেকে নিজের পছন্দের খাবার কিনেছিলেন। খাবারে ছিল চিকেন আর নুডলস। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। রাতের খাবার কিছুটা শেষ করে ওই যুবক বাকিটা রেখে দিয়েছিলেন ফ্রিজে। যা এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে রেওয়াজ বললেই চলে। ওই যুবকও তাই করেছিলেন। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু বিপদ এল পরের দিন সকালে। জানা গিয়েছে, সকালে ফের ফ্রিজে রাখা মুরগির মাংস আর নুডলস খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীরে অস্বস্তি হতে শুরু করে ওই যুবকের (Boy fell ill after eating leftover food) ।
advertisement
অসুস্থ ওই যুবকের এক বন্ধু মারফত জানা গিয়েছে, এরপর ওই যুবকের অবস্থা বেগতিক বুঝে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই যুবককে অন্যত্র স্থানান্তরিত করেন। এমনকী, ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক হয় শেষ পর্যন্ত তাঁকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হন হাসপাপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কখন বাড়তে পারে? জানুন বিশদে
এরপর নানা রকমের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেন শরীরের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে ওই যুবকের। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হয়ে সেপসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ওই যুবক। এর কারণ হিসাবে ওই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মূলত ফ্রিজে রাখা বাসি খাবার খেয়েই ওই যুবকের শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্যাকটেরিয়া। আর তাতেই সংক্রমিত হয়ে কিডনিতে রক্ত জমাট বেঁধে সেপসিসে আক্রান্ত হয়েছে ওই যুবক। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় পচন ধরেছে ওই যুবকের। এমনকী, তাঁর হাতের আঙুলের পাশাপাশি পায়ের বিভিন্ন অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে পচন ধরেছে।
আরও পড়ুন-স্বামীর দ্বিতীয় বাগদানের বিরোধিতা, রাস্তার মাঝখানেই বেধড়ক মার স্ত্রীকে! ভাইরাল হল ভিডিও
শেষ পর্যন্ত সংক্রমণ ও ওই যুবকের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে এবং শরীরের বাকি অংশের দ্রুত পচন ঠেকাতে চিকিৎসকরা তাঁর পা কেটে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ওই যুবকের শরীরের পচন ধরা আঙুলগুলি অক্ষত রাখতে সমর্থ্য হয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, ওই যুবক নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ওই দিন ফ্রিজে রাখা খাবার খাওয়ার পর প্রথমে মারাত্মক জ্বরে আক্রান্ত হন ওই যুবক। পাশাপাশি তাঁর হৃদস্পন্দন অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। আপাতত ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তবে ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে গোটা লন্ডন শহর জুড়ে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা, বাসি খাবার থেকেই ওই যুবক আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে প্রাথমিক অনুমান চিকিৎসকদের। তবে ইতিমধ্যেই রোগের আসল কারণ নিয়ে চিকিৎসকরা নানা রকম গবেষণা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।