আসলে অনেক সময় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অনেকেই মূত্রের বেগ চেপে না-রেখে বোতলেই মূত্রত্যাগ করে থাকেন। সাধারণত বৃদ্ধ এবং শিশুদের ক্ষেত্রেই এমনটা করা হয়। কারণ অনেক সময় গাড়িতে চলে রোড ট্রিপে বেরোলে আশপাশে সচরাচর শৌচাগার থাকে না। তখন সেক্ষেত্রে অতক্ষণ প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখা সম্ভবও হয় না। তাই বোতলই ভরসা! বোতলেই মূত্রত্যাগ করে তা ফেলে দেওয়া হয় (Viral News)।
advertisement
আরও পড়ুন-নির্দিষ্ট এই অভিমুখ মেনে খেতে বসলে শরীর থাকবে সুস্থ, আর মিলবে দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদও!
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরেও এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু সেই ঘটনাটি ঘটেছে সিঙ্গাপুরের এক মলের ফুডকোর্টে। আর এই ছবিই পোস্ট করা হয়েছে কমপ্লেন্ট সিঙ্গাপুর নামের এক পেজে আর ঘটনাটি শেয়ার করেছেন ওই পেজেরই সদস্য লিজ লান। তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন, “এরকম কেন? ফুডকোর্টের বাইরেই তো শৌচাগার! যেতে মাত্র এক মিনিট লাগত।”
লিজের পোস্ট করা এই ছবি দেখেই বেজায় চটেছেন নেটাগরিকরা। কেউ কেউ এটাকে ‘অসভ্যতা’ বলেও দাগিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার হাইজিন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এক নেটাগরিকের বক্তব্য, ‘‘আমি জানি, বাচ্চাটি খুবই ছোট। কিন্তু তা-ও এই বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। কারণ ফুডকোর্টে তো মানুষ খেতেই আসে! আমি ওই মায়ের জায়গায় থাকলে ফুডকোর্টে ঢোকার আগেই ছেলে-মেয়ের প্রস্রাব পেয়েছে কি না, তা জিজ্ঞেস করে নিতাম। এটা তো তা-ও প্রস্রাব করছে! যদি বাচ্চাটার মলত্যাগের বেগ আসত! সেটাও কি ওখানেই করাতেন ওই মহিলা?”
আরও পড়ুন-বার বার কানে বাজছে একই সুর, রহস্যময় এই অনুভূতির পিছনে কি আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে?
আর এক ফেসবুক ব্যবহারকারী বলেছেন, “ট্রেন-বাস বা কোনও যানবাহনে চড়ার আগে অথবা কোথাও প্রবেশের আগে আমি সব সময় আমার সন্তানদের শৌচাগারে নিয়ে যাই। শুধুমাত্র এমন ঘটনা যাতে না-ঘটে, সেই কারণেই আমি এটা করে থাকি। আমার ছেলে-মেয়েরা একটু বড় হয়েছে, তা-ও এই অভ্যেসটা আমি বজায় রেখেছি।”
এছাড়াও বহু নাগরিকই তোপ দেগেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন সন্তানকে দেওয়া ওই মায়ের শিক্ষার বিষয়েও। এক নেটাগরিকের কথায়, এভাবে তো বড়রাই বাচ্চাদের ভুলভাল শিক্ষা দিচ্ছে। ওদের মন এভাবেই বিষিয়ে তুলছে। এবার নিশ্চয়ই কাউকে এটা বলে দিতে হবে না যে, এই স্থানে মূত্র ত্যাগ করা উচিত নয়!
তবে ট্রোলের পাশাপাশিই কিছু কিছু মানুষ ওই মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ফুডকোর্টে বসার জায়গা পাওয়া খুবই মুশকিল। এবার সিট চলে যাওয়ার ভয়ে হয় তো ওই মা আর সন্তানকে শৌচাগারে নিয়ে যাননি। ওখানেই ছেলেকে প্রস্রাব করিয়েছেন। আবার আর এক জন বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ওই মা বোধহয় কোভিডের ভয়ে বাচ্চাকে শৌচাগারে নিয়ে যাননি।”