মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, “আমাদের অভিবাসন নীতির লক্ষ্য শুধু সম্ভাব্য অভিবাসীদের সতর্ক করা নয়, বরং সেই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করা যারা এই অবৈধ প্রক্রিয়াকে পরিচালনা ও উৎসাহ দেয়।”
কীভাবে উঠে এল এই চক্র? ভারতে নিযুক্ত মার্কিন কনস্যুলেট ও কূটনৈতিক নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার সংক্রান্ত কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তাদের তদন্তে স্পষ্ট হয়েছে, কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুয়ো নথি তৈরি, বেআইনি পরামর্শ এবং ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে আমেরিকায় অবৈধভাবে প্রবেশের পথ সুগম করছিল।
advertisement
কী ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে? মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা একটি বিশ্বব্যাপী নীতির অংশ। অর্থাৎ, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র ভারতের জন্য প্রযোজ্য নয়, বরং এটি এমন যে কোনও দেশের নাগরিকের ওপর প্রয়োগ করা হবে যারা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় আমেরিকা ভ্রমণ করতে পারেন। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে, দিল্লিতে থাকা মার্কিন দূতাবাস ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতির কারণে সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সি বা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন: ‘ভারতে কোম্পানি গড়তে চাই না!’ Apple সিইওকে ‘বিশেষ’ বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের…
আমেরিকার উদ্দেশ্য কী? মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, “আমাদের অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা জাতীয় নিরাপত্তা এবং আইনগত অভিবাসন ব্যবস্থার নির্ভরযোগ্যতা রক্ষার জন্য অপরিহার্য।” এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হল— অবৈধ অভিবাসনের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা, মানব পাচার চক্র ধ্বংস করা, বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের আস্থা পুনঃস্থাপন করা৷
এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবং যারা বেআইনিভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে চাইছেন বা সহায়তা করছেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় সতর্কবার্তা।