কী ঘটেছিল শ্রীলঙ্কার ট্রেন দুর্ঘটনায়? ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত মহাসাগর থেকে ধেয়ে সুনামির জল ঢুকে শ্রীলঙ্কার এক ট্রেনে ঢুকে ১৭০০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন। সুনামির কারণে হওয়া প্রথম ট্রেন দুর্ঘটনা ছিল সেটি। তারপর থেকে গত ১৯ বছরের দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বহু ছোট-বড় রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওড়িশায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মতো এত বড় মাপের রেল দুর্ঘটনা ঘটেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পৌঁছে ফোন দিও’, বাড়ির অমতে বিয়ে রোহিত-সুনীতার, অভিশপ্ত ট্রেনে শেষ সংসারের স্বপ্ন
২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪। ট্রেনের নাম শ্রীলঙ্কার সমুদ্রদেবী। যাত্রীসহ ট্রেনটি কলম্বোর ফোর্ট স্টেশন থেকে দক্ষিণের শহর গালে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ক্রিসমাসের ছুটির সপ্তাহান্তের পাশাপাশি এটি ছিল পূর্ণিমার দিন; যখন বৌদ্ধরা মাসিক প্রার্থনা করেন এবং আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। তাই ট্রেনে থাকা বেশির ভাগ যাত্রী পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু, খড়গপুরে শুরু জিজ্ঞাসাবাদ! মারাত্মক তথ্য মিলবে?
পেরালিয়া গ্রামের কাছে এসে এক সময় ট্রেনটি সিগন্যালে থেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ৬০ ফুট উঁচু হয়ে আসা সুনামির ঢেউ ঢুকে পড়ে ট্রেনের ভিতর। তারপর ট্রেনটিকে রেললাইন থেকে ছুড়ে ফেলে। ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রেনটি ঘুরতে থাকে। এই দুর্ঘটনার ফলে ১৭০০ জন প্রাণ হারান বলে অনুমান করা হয়েছিল। মাত্র ৭০০-৮০০ জন ছাড়া বাকিদের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।