Train Accident: 'পৌঁছে ফোন দিও', বাড়ির অমতে বিয়ে রোহিত-সুনীতার, অভিশপ্ত ট্রেনে শেষ সংসারের স্বপ্ন

Last Updated:

Train Accident: হুগলির বাসিন্দা সুনীতা রাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাস কয়েক আগে ওড়িশার ভদ্রকের রোহিত রায়ের সঙ্গে।

শেষ সংসারের স্বপ্ন!
শেষ সংসারের স্বপ্ন!
হুগলি: বাহানাগার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা দুঃস্বপ্নের মতো গেঁথে রয়েছে দেশবাসীর মনে। মৃত্যুর স্তুপে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল ঘটনাস্থল। ভয়াবহ অভিশপ্ত সেই রাতের কথা এখনও ভুলতে পারছেন না দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। একসঙ্গে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। শেষ হয়ে গেল হুগলির এক নব দম্পতির জীবন। তাদের একসঙ্গে বাঁচার স্বপ্ন।
হুগলির বাসিন্দা সুনীতা রাও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মাস কয়েক আগে ওড়িশার ভদ্রকের রোহিত রায়ের সঙ্গে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলেন জীবন গড়ার। তার স্বামী নিজেদের জন্য ভদ্রকেই স্বপ্নের একটি বাড়ি বানাচ্ছিলেন। হুগলির কোন্নগরে কানাইপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে শুরু করেছিলেন তাদের জীবনযাত্রা। তাদের ইচ্ছা ছিল ওড়িশায় বাড়ি তৈরি হয়ে গেলেই সেখানে গিয়ে বাকি জীবন বসবাস করবেন দুজনে। কিন্তু অভিশপ্ত সেই রাত মুহূর্তের মধ্যে চুরমার করে দিল তাদের সব স্বপ্ন। ওড়িশা থেকে হুগলিতে ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী বছর ২৫ এর সুনীতা রাও।
advertisement
advertisement
মৃত সুনীতা রাওয়ের ভাই আনন্দ রাও জানান, সুনীতা তার মাসির মেয়ে। তার জামাই বাবু রোহিতের সঙ্গে, একটি বিয়ে বাড়ি থেকে তাদের পরিচয় হয় দুজনের। গত বছর জানুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে রোহিতের সঙ্গে বিয়ে করেন সুনীতা। সেই কারণে পরিবারের সকলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হয় তার দিদিকে। সুনীতার বাবা বিজয়া রাও অনেক ছোট বয়সে পরলোক গমন করেন। মায়ের সঙ্গে তিনি চাতরা কালিবাবুর ঘাট এলাকায় থাকতেন। যেহেতু মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার, তাই বিয়ের পর থেকেই সুনীতার সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওড়িশায় পৌঁছন তাদের পরিবারের লোকজন।
advertisement
এই বিষয়ে রিষড়ার মারওয়ারি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য অশোক দেওটিয়া বলেন, স্বামীর সঙ্গে ভদ্রকে গিয়েছিল সুনীতা। সেখানে তাদের এক বন্ধুর বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল তারা দুজনে। ভদ্রকে তার স্বামী রোহিত একটি বাড়ি তৈরি করছিল জায়গা কিনে। সেই কাজ দেখাশোনার জন্য সে ভদ্রকে থেকে যায়। স্ত্রী কে হুগলির বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেন তুলে দিয়েছিলেন। ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস এর এসি টু এর যাত্রী ছিলেন এই মহিলা। দুর্ঘটনার পরের দিন থেকেই তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রবিবার বিকালে খবর আসে ওড়িশা থেকে তার দেহ চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। এখান থেকে তার পরিবারের সদস্যরা ওড়িশা পৌঁছালেও দেহ এখানে নিয়ে আসার মতো অবস্থায় ছিল না, তাই ওড়িশাতেই সৎকার করতে হয়।
advertisement
সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে তার স্বামী রোহিত একেবারে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। ভদ্রক থেকে কিছুক্ষণ আগেই স্ত্রীকে ট্রেনে তুলে  বলেছিলেন, বাড়ি পৌঁছে ফোন করতে। সেই দেখাই যে শেষ দেখা হবে তা মেনে নিতে এখনো পারছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে একটি বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে। ট্রেন দুর্ঘটনায় জীবন হানির ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার জন্য।
advertisement
——– রাহী হালদার
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Train Accident: 'পৌঁছে ফোন দিও', বাড়ির অমতে বিয়ে রোহিত-সুনীতার, অভিশপ্ত ট্রেনে শেষ সংসারের স্বপ্ন
Next Article
advertisement
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইনিই, চিন-বিরোধী, হেভি মেটাল ড্রামার! ইতিহাস গড়লেন ‘জাপানের থ্যাচার’
জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইনিই, চিন-বিরোধী, ইতিহাস গড়লেন ‘জাপানের থ্যাচার’
  • সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন, ইতিহাস গড়লেন.

  • তাকাইচি থ্যাচারের অনুপ্রেরণায় এলডিপি সভাপতি ও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন.

  • তাকাইচি একজন হেভি মেটাল ড্রামার, কলেজ জীবনে ব্যান্ডে ড্রাম বাজাতেন, প্রিয় ব্যান্ড Iron Maiden.

VIEW MORE
advertisement
advertisement