বেলজিয়ামের বাসিন্দা সারার আজন্ম দুটো হাত নেই৷ কেন নেই, সেই উত্তর জানেন না চিকিৎসকও৷ তবে সারা কোনওদিনই কারওর করুণার পাত্র হয়ে থাকতে চাননি৷ তাই ছোট থেকে তিনিও খাওয়া, পোশাক পরা, চুল আঁচড়ানো, দাঁত মাজার মতো সব কাজ নিজেই করেছেন৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রপ্ত করেছেন পা দিয়ে সব্জি কাটার কৌশল৷ এমনকি, মেকআপও করেন তিনি পা দিয়েই৷ এখন তাঁর ৩ বছরের কন্যা লিলিয়ার যত্নআত্তি করতেও ভরসা সেই পদযুগলই৷
advertisement
আরও পড়ুন : ভ্যাসেকটমির পর কি আগের মতোই উদ্দাম যৌনজীবন সম্ভব? একই থাকে লিবিডো?
মেয়ের জন্মের পর সারা বেশ ভয়ই পেয়েছিলেন৷ পারবেন তো তিনি সন্তানকে পায়ে করে কোলে নিতে? চেষ্টার পর সেটা তিনি পেরেছেন৷ শৈশবে তিনি কোনওদিন নিজের দু’টি হাতকে মিস করেননি৷ বরং, নিজের হাত দিয়ে একটা বাচ্চা যা যা করে, তিনিও ঠিক সেগুলোই করেছেন৷ এমনকি, ঘর লন্ডভন্ড করার মতো দুষ্টুমিও৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পা দিয়ে লিখতেও শিখে যান৷
আরও পড়ুন : চালের কেজি ২২০, গুঁড়ো দুধ ১৯০০, জন্মভূমি শ্রীলঙ্কার জন্য কী বার্তা জ্যাকলিনের?
আরও পড়ুন : দূরে থাকে ক্যানসার ও হৃদরোগ, নিয়মিত হস্তমৈথুন ও শারীরিক সম্পর্কই দীর্ঘায়ু করে
সারা এখন একজন সফল ইউটিউবার-ও৷ দৈনন্দিন জীবনকেই তিনি তুলে ধরেন ইউটিউব চ্যানেলে৷ তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৪ হাজারের বেশি৷ তাঁরা অনুপ্রাণিত হন সারার ভিডিও দেখে৷ সারা জানিয়েছেন দৈনিক জীবনের কাজে তিনি স্বামীর সাহায্যও পান অনেক ক্ষেত্রেই৷ কিন্তু এ ছাড়াও সব কাজ নিজে করতেও শিখে গিয়েছেন৷