ইয়ারিনা আরিয়েভার বিয়ে এবং বিয়ের পরেই যুদ্ধের ডাকে সাড়া দেওয়ার গল্প পৃথিবীর সামনে সম্প্রতি এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে। নিজের ফেসবুক (Facebook) পেজ থেকে স্বামী এবং তাঁর একটি ছবি তিনি পোস্ট করেছিলেন, সেই ছবিতে দু'জনের হাতেই দেখা গিয়েছে AK-47 রাইফেলের উপস্থিতি। বিয়ের মাধুর্যের সঙ্গে বন্দুকের নল বড় বেশি বেমানান, তাই নয় কি? কিন্তু দেশ যখন শত্রুর লালসার মুখে দাঁড়িয়ে, তখন সব সুখ ছেড়ে যে একে একে তরুণেরা চলে যায় যুদ্ধক্ষেত্রে, সেই ছবিও কি ইতিহাস এর আগে আমাদের দেখায়নি?
advertisement
অতএব, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল! ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সালে যখন ২৪ বছরের নবযুবক ভিয়াতোস্লাভ ফুরসিনের (Sviatoslav Fursin) সঙ্গে সেন্ট মাইকেল মনাস্টারিতে হাঁটু মুড়ে বসে বিয়ের শপথবাক্য পাঠ করছিলেন সালঙ্কারা, সুসজ্জিতা ইয়ারিনা, তখন আকাশ থেকে নেমে এসেছিল কাতারে কাতারে মিসাইল এবং বোমা, কেঁপে উঠেছিল স্বদেশ আর শহর। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল এক লহমায়- রাশিয়ার বিমানবাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশের মানচিত্রে।
আরও পড়ুন-Viral News: বিয়ের পর যৌনতায় নারাজ স্বামী, পুলিশের দ্বারস্থ হলেন স্ত্রী! তার পর?
তবে, ইয়ারিনা আর ফুরসিনের সম্পর্কের মানচিত্রে অপেক্ষা বড় সাম্প্রতিক নয়। বিয়ে তাঁদের হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের মে মাসে, তাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে, বিয়ের আংটি আঙুলে গলানোর পরেই কাঁধে বন্দুকের স্ট্র্যাপ গলানো নিয়ে খুব একটা বিচলিত হননি নববধূ। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অন্তত সেই কথাই বলছে। আর ইয়ারিনা বলছেন জোরগলায়- যুদ্ধের শেষে, স্বাধীন দেশে স্বামীর সঙ্গে সুখী গৃহকোণে তিনি ফিরবেনই, যদি একসঙ্গে বাঁচা নাও হয়, অন্তত একসঙ্গে যুদ্ধে মৃত্যুটাই হোক!