ইসলামাবাদ: এই ক’দিন আগেই সৌদি আরবের সঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক চুক্তি সই করেছে পাকিস্তান৷ যে চুক্তিতে বলা হয়েছে, ওই দুই দেশের মধ্যে কোনও একটা দেশেও যদি বিদেশি কোনও শক্তি হামলা করে, তাহলে অন্যদেশও ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে৷ পহেলগাঁও এবং অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী ক্ষেত্রে পাকিস্তানের এই ধরনের সামরিক চুক্তি করা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে৷ ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, তারা আগের মতোই পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে৷ এর মধ্যেই এবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করতে শোনা গেল সে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা আসিফের মুখে৷
advertisement
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে খ্বজা আসিফকে প্রশ্ন করা হয়, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ হলেও কি তাতে যোগ দেবে সৌদি আরব? উত্তরে খ্বজা আসিফ বলেন, ‘‘জি বিলকুল, ইসমে কোয়ি শক নেহি (হ্যাঁ অবশ্যই, এতে কোনও সন্দেহই নেই)৷’’
আসিফ জানিয়েছেন, এই চুক্তি দুই দেশের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোর উপরে জোর দিতেই করা হয়েছে৷ তবে পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, সৌদি আরব বা পাকিস্তান কোনও দেশকেই বিশেষ ভাবে আগ্রাসন পন্থী হিসাবে উল্লেখ করেনি৷ এই চুক্তিকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এক বৃহত্তর ছাতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷
খ্বজা আসিফ বলেন, ‘‘আমরা কোনও দেশের নাম বিশেষভাবে আগ্রাসক হিসাবে উল্লেখ করিনি৷ সৌদি আরবও করেনি৷ আমাদের মধ্যে কোনও দেশ যদি অন্য কোনও দেশ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে অপর দেশ তাকে সাহায্য করবে৷ যুগ্মভাবে প্রতিরক্ষা করবে৷ ’’
অন্য একটি প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের এই চুক্তি কোনও আগ্রাসী মনোভাবের কথা মাথায় রেখে করা হয়নি৷ প্রতিরক্ষার কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে৷ ’’
এদিকে, ভারত শুক্রবার বলেছে যে তারা আশা করে যে পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও সৌদি আরব ভারতের সঙ্গে তার “পারস্পরিক স্বার্থ এবং সংবেদনশীলতা” প্রতিফলিত করবে।