আরও পড়ুন- এক পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল, কৃত্রিম পা পেল বিহারের লড়াকু ছাত্রী!
গত বছরের অগাস্টে মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রত্যাহারের পর তালিবানরা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে নারীর অধিকার এবং মানবাধিকারের পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষা আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়েছে। এই সপ্তাহের শুরুতে, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের অধিকার বিষয়ক দূত রিচার্ড বেনেট জানান, ‘গুরুতর’ মানবাধিকার সংকটের মুখোমুখি আফগানিস্তান এবং তালিবান কর্তৃপক্ষকে মহিলাদের উপর ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বানও জানানো হয়।
advertisement
মার্চ মাসে মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে তালিবানরা মত পরিবর্তন করে। তারপরেই শিক্ষার লভ্যতা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বেনেট। তালিবানরা অবশ্য মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দিয়েছে এবং মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার বিষয়ে কাজ করছে। নিউজ ১৮-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুত্তাকি দাবি করেন, আফগানিস্তানের জেলে একজনও মহিলা বন্দি নেই।
“আফগানিস্তানের জেলে আমাদের একজনও নারী বন্দি নেই। গত নয় মাসে, রাজনৈতিক বিরোধিতা বা সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কারণে আফগানিস্তানের কারাগারে একজন মহিলাও বন্দি হননি,” বলেন মুত্তাকি। মুত্তাকি পূর্ববর্তী তালিবান শাসনামলে সংস্কৃতি ও শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তিনি জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে যেটুকু ব্যাঘাত ঘটেছে তা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে।
আরও পড়ুন- ভক্তি দেখাতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা ভুলবেন না: তীর্থস্থানে দূষণ নিয়ে মোদির মন কি বাত!
“শিক্ষার ক্ষেত্রে, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ক্লাস বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং এখন ৮৫-৯০% ক্লাস ফের চালু করা হয়েছে। ছেলেরা তাদের নিয়মিত শিক্ষাই পাচ্ছে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা পাচ্ছে,” বলেন মুত্তাকি।
“তবে, ছেলে এবং মেয়ে দু’জনের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে যেখানে তারা শিক্ষা গ্রহণ করছে পাশাপাশি শিক্ষা দানও করছে। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে নারী শিক্ষকসহ ৯২ হাজার শিক্ষক রয়েছেন। এখনও কিছু অসুবিধা আছে, তবে সমাধান অবশ্যই আসবে,” জানান এই তালিবান নেতা।