প্যারিসের প্রসিকিউটর লর বেকুউ বলেন, চুরি হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে দুটি মুকুট, একটি নীলকান্তমণির নেকলেস, পান্নার কানের দুল, দুটি হিরেখচিত ব্রোচ এবং একটি কানের দুল ছিল, যা ১৯ শতকের হাউট জুয়েলরি মাস্টারপিস। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে সকাল ৯:৩৪তে উজ্জ্বল হলুদ জ্যাকেট পরা দুজন ব্যক্তি মোটরবাইকে করে পালিয়ে যায়। প্রায় ১০০ জন তদন্তকারী এখনও তথ্য সংগ্রহ করছেন।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, ইউজেনি এবং রানি মেরি-অ্যামেলির এক সময়ের পরিধেয় অলঙ্কারগুলি আর কখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সংবাদ সংস্থা এপি টোবিয়াস কোরমিন্ডকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “এই অলঙ্কারগুলি আর কখনও উদ্ধার করা এবং দেখা যাবে না, এটা খুবই সম্ভব। যদি এই রত্নগুলি ভেঙে বিক্রি করা হয়, তাহলে কার্যত এগুলি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে এবং চিরতরে পৃথিবীর থেকে হারিয়ে যেতে পারে।”
চুরি হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল প্রথম নেপোলিয়ন কর্তৃক মেরি-লুইকে উপহার দেওয়া একটি পান্নার নেকলেস এবং সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি হিরের মুকুট, যার মধ্যে প্রায় ২০০০ হিরে রয়েছে। চুরির পর জাদুঘরের কাছে সম্রাজ্ঞী ইউজেনির পান্না-সজ্জিত রাজকীয় মুকুট পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
বুধবার ল্যুভর পুনরায় খোলা হয়েছে, যদিও নিরাপত্তার ত্রুটি যাতে না হয় সেই কারণে তদন্তের স্বার্থে অ্যাপোলো গ্যালারি সিল করা রয়েছে। রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা ম্যাক্সিম মিশেলেট এই ঘটনাকে জাতীয় অবমাননা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে “সম্রাজ্ঞী ইউজেনির মুকুট চুরি হয়ে যাওয়া, তার পর ফেলে দেওয়া এবং নর্দমায় সেই ভাঙা মুকুট পাওয়া এমন একটি জাতির পতনের প্রতীক হয়ে উঠেছে যা আগে খুবই প্রশংসিত হত।”
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এর পুনরুদ্ধার অসম্ভব। এপি রিপোর্ট করেছে যে, “চোরেরা হিরে এবং নীলকান্তমণি সরিয়ে ফেলতে পারে এবং বিদেশি কোনও ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করতে পারে।”