হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা ও যোগাযোগ উপদেষ্টা জন কিরবি বলেছেন, ‘হিংসা মানা যায় না। সেটা জাতি, লিঙ্গ, ধর্ম বা অন্য কোনও কারণেই হোক না কেন। মার্কিন সরকার এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে’।
advertisement
এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘এই ধরনের হামলা রুখতে রাজ্য এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে রাষ্ট্রপতি এবং প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এমন আক্রমণ প্রতিহত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। স্পষ্ট করে দিতে চাই, যারা এই ধরনের কাজ করছে, তারা জবাবদিহি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন’।
আমেরিকার বিভিন্ন কলেজে পরপর ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন প্রবাসী ভারতীয়রা। পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে আগত পড়ুয়া এবং সংশ্লিষ্ট সহ শিক্ষার্থীরাও ভীত। তাঁদের উপরও যে কোনও সময় এমন হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকেও প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ‘ভাইরাল’, পরীক্ষা বাতিল অভিযুক্তের! কোথায়?
শুধু ২০২৪ সালেই ভারতীয় এবং ভারতীয়-আমেরিকান বংশোদ্ভূত ৭ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে আমেরিকায়। এঁদের প্রত্যেকেই পুরুষ এবং বয়স ২৫ বছর বা তার কম। এই ৭ ছাত্রের মধ্যে একজনকে পিটিয়ে মারা হয়, দুজনের কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর মৃতদেহ উদ্ধার হয়, দুজন আত্মহত্যা করেন এবং বাকি দুজনের ওভারডোজের কারণে মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মার্কিন মুলুকে পড়তে যাওয়া আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় পড়ুয়াদের সংখ্যা ২৫ শতাংশের বেশি।
ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা ইন্ডিয়ানার পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ বছর বয়সী বিরাগ শাহ বলেন, ‘ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মৃত্যুর খবরে ভারতীয় ছাত্ররা আতঙ্কিত’। সংবাদসংস্থা এনবিসি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ঘটনাগুলো দেখে মনে হচ্ছে, এর একটা প্যাটার্ন আছে’।
সবার প্রথম ১৫ জানুয়ারি হার্টফোর্ডের বাড়িতে দীনেশ গাট্টু (২২ বছর) এবং সাই রাকোটি (২১ বছর)-র মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বলা হয় ফেন্টানাইল ওভারডোজের কারণে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই শুরু। এরপর জর্জিয়ার লিথোনিয়ার কনভেনিয়ান্স স্টোর থেকে ২৫ বছর বয়সী বিবেক সাইনির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই স্টোরে পার্টটাইম কাজ করতেন বিবেক। ২০ জানুয়ারি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় আরবানা-চ্যাম্পেইন ক্যাম্পাসে ১৮ বছর বয়সী আকুল ধাওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার করে সহপাঠীরা। এরপর ২৮ জানুয়ারি পারডুর ক্যাম্পাসে ১৯ বছর বয়সী নীল আচার্য এবং ৫ ফেব্রুয়ারি জঙ্গল থেকে সমীর কামাথের দেহ উদ্ধার হয়।