সংবাদ সংস্থা দ্য নিউজ ডট পিকে এবং জিও নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর ফারাহ খান লাহোর শহরের প্রধান এলাকায় রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করেছিলেন। এর মধ্যে ইসলামাবাদে ৯৩৩ বর্গ ইয়ার্ডের একটি বিলাসবহুল ভিলাও ছিল, যার দাম প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, ফারাহ স্টক, রিয়েল এস্টেট, বিদেশি রেমিটেন্স এবং উপহারে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- থানায় নিম্নাঙ্গে অন্তর্বাস পরিহিত 'সাংবাদিক'দের ছবি ভাইরাল! কী সাফাই পুলিশের?
তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালে তাঁর সম্পদ দ্বিগুণ হওয়া সত্ত্বেও ২০১৮ সালে ফারাহ এক টাকাও ট্যাক্স দেননি। প্রতিবেদনে আরও জানা গিয়েছে, বর্তমানে ক্ষমতাচ্যুত উসমান বুজদারকে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করার সময় থেকেই সম্পদের এই বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, ফারাহ ছিলেন উসমান বুজদারের মুখপাত্র এবং যখন বুজদার সুবিধামতো বদলি এবং পোস্টিং করার জন্য প্রচুর অর্থ নিতেন, তার অংশের ভাগ পেতেন ফারাহও। বিরোধীদের অভিযোগ, এই টাকার একটি বিশাল অংশ পেয়েই নিজের সম্পদ দ্বিগুণ করেছেন ফারাহ।
বুজদার অবশ্য এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করেছেন। যারা তাঁর সঙ্গে ফারাহর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এমন সাংসদদের লক্ষ্য করে একটি ট্যুইটে তিনি জানান যে, তিনি ‘আলিম খান, চৌধুরী সারওয়ার এবং অন্যান্য বিরোধী সদস্যদের ভুয়ো অভিযোগগুলি’ অস্বীকার করছেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, যাতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করা যায় সেই স্বার্থেই ফারাহ খানকে ফিরিয়ে আনা উচিত।
আরও পড়ুন- দু'বছর পর ফের শুরু অমরনাথ যাত্রা! দেখে নিন অনলাইনে কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন?
শনিবার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটের বিষয়টি নিয়েই এগোবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ। আস্থা প্রস্তাবের ভোট এর আগে স্থগিত করা হয়েছিল কারণ ডেপুটি স্পীকার মনে করেছিলেন যে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বাতিল করা প্রস্তাবটি পেশ করা অসাংবিধানিক।