বড় হ্রদ। জলের উপর ভাসছে ছোট ছোট দুটো হাত। খামচে ধরছে বাতাস। বাঁচার তীব্র আকুতি ফুটে উঠছে। এক ঝলকে দেখলে মনে হবে, কোনও বাচ্চা যেন ডুবে যাচ্ছে। এ দৃশ্য চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এটা ফাঁদ। সাহায্য করতে কেউ জলে নামলেই ব্যস। ভবলীলা সাঙ্গ।
advertisement
আসলে হাত দুটো কুমিরের। হ্রদের জলে ডুবে যাওয়ার অভিনয় করছে কুমিরটি। যাতে কোনও মানুষ তাকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপ দেয়। তখনই তাকে শিকার করবে। ইন্দোনেশিয়ার এই ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা অবাক। এমন ‘নাটুকে কুমির’-ও হয়! যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।
ভাইরাল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামের nature_with_akhil নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভিউ লক্ষাধিক। হাজার, হাজার ইউজার লাইক করেছেন। কমেন্টেরও বন্যা বইছে।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কুমির সামনের দুটো পা জলের উপর তুলে ডুবে যাওয়ার অভিনয় করছে। যাতে কেউ তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেয়। তাহলেই তাকে সে শিকার করবে। পাড়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই সেই দৃশ্য দেখছে। নিজদের মধ্যে হাসাহাসি করছে। সবাই বিস্মিত, “কুমিরের এত বুদ্ধি!”
অনেকে বলছেন, কুমির অত্যন্ত চালাক প্রাণী। শিকার ফাঁদে ফেলতে নানা ফন্দিফিকির আঁটে। দেখা গেছে, কিছু কুমির লম্বা মুখের উপরের অংশ কাঠের টুকরোর মতো জলের উপর ভাসিয়ে রাখে। যাতে তা দেখে পাখি এসে বসে। আর তাদের শিকার করে কুমির।
তবে প্রাণীবিদরা এই দাবি মানতে রাজি নন। তাঁদের মতে, হয়ত জলের নীচে কুমিরটি কোনও প্রাণীর সঙ্গে লড়াই করছে। বা অন্য কিছু হয়েছে। এভাবে ডুবে যাওয়ার ভান করা কুমির করতে পারে না। এভাবে জলের উপর থেকে দেখে কিছু আন্দাজ করা ঠিক হচ্ছে না।
সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা অবশ্য রঙ্গ রসিকতায় মেতেছেন। এক ইউজার কমেন্টে লিখেছেন, “বাঁচাও, বাঁচাও, বাঁচাও…তারা রামপাম পা।” আর এক ইউজার কুমিরের বুদ্ধির তারিফ করেছেন, “কয়েকদিন পর তুমি তো মানুষকেও টেক্কা দেবে। চালিয়ে যাও।” আরেকজন লিখেছেন, “ওকে কেউ একটা অস্কার দে ভাই।”