ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবর মাসের শেষে। কোস্টারিকার মারিনা নদীর তীরে ঘুরতে আসে স্থানীয় এক পরিবার। সেই সময়ে ওই পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ৮ বছরের এক কিশোর নদীতে নেমে পড়ে। কিন্তু কেউ বুঝতেও পারেনি সেই সময়েই পাশে ঘাপটি মেরেছিল বিশালাকার একটি কুমির।
আমচকাই সেই সময়েই কিশোরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুমিরটি। পরিবারের লোকেদের চোখের সামনেই কুমিরটি কিশোরটিকে টানতে টানতে জলে নিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই কিশোরের আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
advertisement
অসহায় অবস্থায় ওই পরিবারের লোকেদের সামনেই পুরো ঘটনাটি ঘটে। এর পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তাঁরা। কিন্তু তাদের অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবে সাহায্য করেনি। কারণ, পুলিশের দাবি কুমিরটিকে গুলি করার কোনও অনুমতি তাদের কাছে ছিল না। তারপরেই অসহায় অবস্থায় পার্কের কর্তৃপক্ষের কাছে যায় ওই পরিবার। সেখানেও মেলেনি সাহায্য।
এই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। ওই কিশোরের কোনও সন্ধান মেলেনি। কিন্ত কয়েকদিন আগেই ওই কুমিরটির লাশ মেলে। পুলিশ এবং স্থানীয় বন দফতর জানিয়েছে, কুমিরটিকে গুলি করে মারা হয়েছে। কিন্তু কারা গুলি করে সেই তথ্য নেই।
আরও পড়ুন, সিব্বলের জোর সওয়ালেও কাজ হল না, অনুব্রত মামলায় সময় পেয়ে গেল সিবিআই!
তবে স্থানীয়রা কুমিরটির পেট কেটে মানুষের শরীরের অংশ এবং চুল পেয়েছে। তা থেকেই অনুমান করছে, ওই কিশোরের হত্যা করে খেয়ে নিয়েছে কুমিরটি। যদিও স্থানীয় প্রশাসন সেই দেহাংশগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই, তারপরে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে পারবে।
আরও পড়ুন, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে কী জানাল আদালত
মৃত কিশোরের মা জানিয়েছেন, "আমি কখনই এই এলাকায় থাকতে চাই না। এখানে মানুষের জীবনের মূল্য থেকে কুমিরের মূল্য বেশি। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি।"