শি জিনপি-এর সেনাবাহিনীকে দেওয়া এই নির্দেশ ভারত ও তাইওয়ানের পাশাপাশি ড্রাগনের প্রতিবেশী সব দেশের উদ্বেগ বাড়াতে চলেছে। জিনপিং তাঁর সেনাবাহিনীর জয়েন্ট অপারেশন কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করার সময় পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
আরও পড়ুন- জলভাগে ক্রমশ নিজের শক্তি বাড়িয়ে ফুঁসছে ঝড় নিকোল, তছনছ হবে সব
বর্তমানে দক্ষিণ চিন সাগরে অবস্থানরত দেশ, এমনকী ভারতের সঙ্গেও চিনের তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। জিনপিং গত মাসে তাঁর ক্ষমতা ধরে রেখে চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নিজের দখল আরও শক্ত করেছেন। এর পরই ৬৯ বছর বয়সী জিনপিংয়ের এই আদেশ শিগগির কিছু কঠোর পদক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরি করছে।
advertisement
জিনপিং বর্তমানে তিনটি শক্তিশালী পদে রয়েছেন। তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো চিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চিনের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের (সিএমসি) প্রধান হয়ে তিন বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর দেওয়া যুদ্ধের নির্দেশের প্রতিবাদ করার মতো চিনে কেউ নেই।
চিনের সরকারি খবর সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, সিএমসি প্রধান হিসেবে জিনপিং মঙ্গলবার কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করেন। সেই সময় তিনি চিনা সেনার উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে চিনের নিরাপত্তা স্থিতিশীল নয়। জাতীয় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ-এর মুখে পড়তে পারে। তাই চিনের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভের ক্ষমতা বাড়াতে পূর্ণ শক্তিও দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন- খুম্বু হিমবাহের ‘ভূতুড়ে গলি’-তে বিরল তুষারচিতা, বাজিমাত তরুণী আলোকচিত্রীর
জিনপিং শুধু সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেননি। তিনি সেনাবাহিনীকে সর্বদা অ্যাকশন মোডে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীকে তাদের পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করতে বলেছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যাতে আদেশ পাওয়া মাত্রই যুদ্ধ শুরু করা যায়।
চীন বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে ভিয়েতনাম থেকে জাপান পর্যন্ত সব দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়াচ্ছে। এর বাইরে তাইওয়ানে নিজেদের দখল কায়েম করতে তারা স্পষ্টভাবে যুদ্ধের পথ নেওয়ার কথাও বলেছে। পূর্ব লাদাখের অনেক জায়গায় চিনা সেনাবাহিনী পিছু হটেছে। কিন্তু এখনও ভারতীয় সেনার সঙ্গে পিএলএ-র বিরোধ পুরোপুরি কাটেনি।