তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জাপোরিঝঝিয়া বিখ্যাত৷ গত সপ্তাহেই এই শহর দখল করেছে রুশবাহিনি৷ জানা গিয়েছে, ওই বালকের বাবা মাকে থেকে যেতে হয়েছে জাপোরিঝঝিয়া শহরেই৷ এক অসুস্থ পরিজনের দেখভালের জন্য৷
একরত্তি ছেলের সাহসে মুগ্ধ স্লোভাক প্রশাসন৷ তার নির্ভীক শরীরী ভাষা, অকুতোভয় নিষ্পাপ মুখ জয় করেছে নেটিজেনদের মন৷ স্লোভাকিয়ান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক থেকে ফেসবুকে ওই নির্ভীক বালকের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছে, ‘‘গত রাতের সবথেকে বড় নায়ক’’৷
advertisement
আরও পড়ুন : বাইরে অবিরাম বোমাবর্ষণ, জাগুয়ার এবং লেপার্ড-সন্তানকে নিয়ে বেসমেন্টের অন্ধকারে দিন কাটছে ভারতীয় চিকিৎসকের
স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত আত্মীয়দের কাছে ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়েছেন ছেলেটির মা৷ ট্রেনে তুলে দেওয়ার সময়প্লাস্টিকের ব্যাগে দিয়ে দিয়েছিলেন পাসপোর্ট এবং বার্তা-সহ একটি চিরকুট৷
স্লোভাকিয়া সীমান্তে পৌঁছনর পর প্রশাসনিক আধিকারিকরা তার হাতের নাম্বার দেখে যোগাযোগ করেন বালকের পরিজনদের সঙ্গে৷ পরে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভা থেকে এসে তারা নিয়ে যান বালককে৷
জানা গিয়েছে ছেলেকে সঙ্গে দেওয়া চিরকুটে রুশ রমণী ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্লোভাক সরকার এবং পুলিশকে৷ তার ছেলেকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৷
আরও পড়ুন : পাতলা ভুরুর জন্য ভরসা কাজলপেন্সিল? ঘরোয়া টোটকায় নিমেষে ঘন করুন ভ্রুপল্লব
খুদে বালক এখন নির্ভীকতা ও দৃঢতার প্রতীক৷ সামান্য জিনিস অবলম্বন করে ইউক্রেন-স্লোভাক সীমান্তে পৌঁছনর পর স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে উষ্ণ স্থানে নিয়ে যান৷ হাতে তুলে দেন খাবার ও পানীয়৷ সেগুলি ছিল তার পরবর্তী গন্তব্যে পৌঁছনর রসদ৷
আরও পড়ুন : কোভিডে প্রিয়জনকে হারানোর দুঃখ নিয়েই বসতে হচ্ছে মাধ্যমিকে? মন শক্ত করার উপায় বললেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
তবে বালকের হাতে নম্বর লিখে দেওয়ার উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেছে স্লোভাকিয়ার প্রশাসন৷ তাঁদের মতে নম্বর পাওয়া যাওয়ায় সহজেই পরিজনদের খুঁজে পেয়ে তাঁদের হাতে খুদেকে তুলে দেওয়া গিয়েছে৷