TRENDING:

'রাতের বেলা ভারী বুটের শব্দ শুনছি', উদ্বেগ বাড়ছে চিন-ভারত সীমান্তের গ্রামগুলিতে

Last Updated:

রাতে অন্ধকারে চিনা সেনাদের তাবু স্পষ্ট দেখতে পাই, লাদাখের সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা যা বলছেন...

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#লাদাখ: লাদাখ সীমান্তে বাড়ছে উদ্বেগ৷ চিন-ভারত সীমান্তে বসবাসকারী ভারতীয়রা চাইছেন এই নিয়ে সরকারিভাবে তাদের কিছু জানানো হোক ৷ না হলে প্রতিদিন বাড়ছে ভয় ও আতঙ্ক৷ মনে হচ্ছে এই বুঝি সীমান্ত পার করে তাদের ওপর আক্রমণ শানাল চিনা সেনা৷ এমনই বলছেন তাশি নামগয়াল ইয়াকজি৷ শায়ক গ্রামের দুর্বুকের কাউন্সিলর তিনি৷ জানাচ্ছেন যে রাতের বেলায় সেনার বুটের শব্দ শুনতে পাচ্ছেন নিয়মিত৷ এতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ভয় চেপে বসছে৷ ছড়াচ্ছে অনেক 'ভুয়ো যুদ্ধের' খবরও৷ এমনই বলছেন তাশি৷ তিনি আরও বলছেন 'গানওয়ান নল্লা যেখানে চিনা সেনা ঢুকে পড়েছে বলে খবর সেটা আমাদের গ্রাম থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে৷ ভারতীয় সেনাও তাদের অস্ত্র নিয়ে সেদিকে এগিয়েছে৷ তবে আমাদের কারও কাছে কোনও খবর নেই৷ কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না৷ গত ৫দিন ধরে আমাদের ফোনের যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে৷ যারা সেনার জন্য কুলি হিসেবে কাজ করেন, তাদেরও ৫ মে পর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷'
advertisement

৫ মে থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা৷ স্থানীয়দের থেকেই সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ চিনা সেনা প্রথমে সীমান্তের দৌলত বেদ ওলডিতে প্রবেশ করে  ফিরে যান৷ ৪ দিন পর তারা প্যাংগং-এ ঢুকে পরেন তিন দিক থেকে৷ কতজন চিনা সেনা ঢুকেছেন সেটা স্পষ্ট না করতে পারলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে তাঁরা তাবু গেড়েছেন৷ এবং আগের থেকে এবারের সীমান্ত প্রবেশ অনেক বেশি মারাত্মক৷

advertisement

আরও পড়ুন লকডাউন বাড়ানো নিয়ে কী মত? সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের

এই সময়ে দাঁড়িয়ে সেখানে সরকারি কোনও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত হোন, চাইছেন স্থানীয় নেতা ও প্রশাসকরা৷ 'চিনারা বরাবর প্রথমে যাযাবরদের পাঠিয়ে দেয়, তারপর আসে তাদের সেনা৷ এটাই তাদের স্ট্র্যাটেজি', বলছেন স্থানীয় নমগাল দুর্বুক৷ 'ভারতীয় সেনা আমাদের সীমান্ত এলাকায় যেতে দেয় না'৷ এই সুযোগে সীমান্তের চারণ ভূমি চিনারা কব্জা করছে বলেই মত তাঁর৷

advertisement

সদ্য লাদাখের বিজেপি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ছিরিং দোরাজ৷ বলছেন 'এলএসি(LAC) বারাবর কিছু বছর ধরেই চিনা সেনার অনুপ্রবেশ হচ্ছে'৷ তবে মোদি সরকার কোনও ভাবেই চিনা আগ্রাসনের হুমকি থেকে পিছিয়ে আসবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি৷ তবে ২০-৩০ বছর ধরে ডিবিও সেক্টরে যে নিজেদের জমি খুয়েছেন তিনি, সেই ক্ষোভও উড়গে দিলেন দোরাজ৷ তাঁর অভিযোগ যে, এলএসি-তে(LAC) আইটিবিপি (ITBP)এবং ভারতীয় সেনার যতটা সক্রিয় থাকা প্রয়োজন, ততটা নয়৷ ফলে তাঁরা নিজেদের জমি হারাচ্ছেন বলে তাঁর ক্ষোভ৷

advertisement

আরও পড়ুন প্রয়াত এম পি বীরেন্দ্র কুমার, বয়স হয়েছিল ৮৩

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নদীর জলে ভেসে গেল গণ্ডার, প্রাণ বাঁচাতে যা করল..! হু হু করে ভাইরাল ভিডিও
আরও দেখুন

দোরাজ জানিয়েছেন যে, লেহ(Leh) এয়ারবেসে ইতিমধ্যেই বাড়তি সেনা পৌঁছেছে বলে তাঁরা জানতে পারছেন৷ তবে তাদের চরম তাপমাত্রার সঙ্গে অভ্যস্থ হতে হবে প্রথমে, তারপর তারা এগোতে পারবে বলেই মত দোরাজের৷ তবে তিনি নিশ্চিত যে ভারত-চিন কূটনৈতিক বৈঠক চলছে৷ এখন অপেক্ষা সরকার তাদের প্রতি কী বার্তা দেন৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ভারত-চিন/
'রাতের বেলা ভারী বুটের শব্দ শুনছি', উদ্বেগ বাড়ছে চিন-ভারত সীমান্তের গ্রামগুলিতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল