৫ মে থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা৷ স্থানীয়দের থেকেই সেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ চিনা সেনা প্রথমে সীমান্তের দৌলত বেদ ওলডিতে প্রবেশ করে ফিরে যান৷ ৪ দিন পর তারা প্যাংগং-এ ঢুকে পরেন তিন দিক থেকে৷ কতজন চিনা সেনা ঢুকেছেন সেটা স্পষ্ট না করতে পারলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে তাঁরা তাবু গেড়েছেন৷ এবং আগের থেকে এবারের সীমান্ত প্রবেশ অনেক বেশি মারাত্মক৷
advertisement
আরও পড়ুন লকডাউন বাড়ানো নিয়ে কী মত? সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা অমিত শাহের
এই সময়ে দাঁড়িয়ে সেখানে সরকারি কোনও জনপ্রতিনিধি উপস্থিত হোন, চাইছেন স্থানীয় নেতা ও প্রশাসকরা৷ 'চিনারা বরাবর প্রথমে যাযাবরদের পাঠিয়ে দেয়, তারপর আসে তাদের সেনা৷ এটাই তাদের স্ট্র্যাটেজি', বলছেন স্থানীয় নমগাল দুর্বুক৷ 'ভারতীয় সেনা আমাদের সীমান্ত এলাকায় যেতে দেয় না'৷ এই সুযোগে সীমান্তের চারণ ভূমি চিনারা কব্জা করছে বলেই মত তাঁর৷
সদ্য লাদাখের বিজেপি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ছিরিং দোরাজ৷ বলছেন 'এলএসি(LAC) বারাবর কিছু বছর ধরেই চিনা সেনার অনুপ্রবেশ হচ্ছে'৷ তবে মোদি সরকার কোনও ভাবেই চিনা আগ্রাসনের হুমকি থেকে পিছিয়ে আসবে না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি৷ তবে ২০-৩০ বছর ধরে ডিবিও সেক্টরে যে নিজেদের জমি খুয়েছেন তিনি, সেই ক্ষোভও উড়গে দিলেন দোরাজ৷ তাঁর অভিযোগ যে, এলএসি-তে(LAC) আইটিবিপি (ITBP)এবং ভারতীয় সেনার যতটা সক্রিয় থাকা প্রয়োজন, ততটা নয়৷ ফলে তাঁরা নিজেদের জমি হারাচ্ছেন বলে তাঁর ক্ষোভ৷
আরও পড়ুন প্রয়াত এম পি বীরেন্দ্র কুমার, বয়স হয়েছিল ৮৩
দোরাজ জানিয়েছেন যে, লেহ(Leh) এয়ারবেসে ইতিমধ্যেই বাড়তি সেনা পৌঁছেছে বলে তাঁরা জানতে পারছেন৷ তবে তাদের চরম তাপমাত্রার সঙ্গে অভ্যস্থ হতে হবে প্রথমে, তারপর তারা এগোতে পারবে বলেই মত দোরাজের৷ তবে তিনি নিশ্চিত যে ভারত-চিন কূটনৈতিক বৈঠক চলছে৷ এখন অপেক্ষা সরকার তাদের প্রতি কী বার্তা দেন৷