প্রথম দুটি জায়গায় উপায় বের হলেও দেপস্যাং নিয়ে দুদেশের বিরোধ আট বছরের পুরনো। এর আগে কম্যান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছে ভারত। আজ ফের ভারতের পক্ষ থেকে একই দাবি জানানো হতে পারে। কয়েকদিন আগে চিনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, নয়াদিল্লি ও বেজিং প্যাংগং হ্রদ অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে।
advertisement
চিনের সেনা সরে যাবে ফিঙ্গার ৮ অঞ্চলে। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনা সরে আসবে প্যাংগং সো লেকের উত্তর দিকে ফিঙ্গার ২ ও ফিঙ্গার ৩ অঞ্চলের মধ্যে ধ্যান সিংহ থাপা পোস্টে। এছাড়া সাময়িকভাবে টহলদারি সহ যাবতীয় সামরিক কার্যকলাপ স্থগিত রাখা হচ্ছে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম ধাপে সেনা সরানো হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সেনা সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকেই উত্তপ্ত ছিল এই অঞ্চল।
তবে দুদেশের পক্ষ থেকে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি চিনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে স্বীকার করা হয়েছে, গালওয়ানে তাদের চারজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এই সংঘর্ষ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল চিন। তবে ড্রাগনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে রাশিয়া এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল মৃত চিনা সেনার সংখ্যা তিরিশের ওপর।
গত ১৫ মাস ধরে দুই দেশের স্ট্যান্ড অফ বজায় আছে। নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই ধারেই পঞ্চাশ হাজারের আশেপাশে সেনা মোতায়েন রেখেছে দুপক্ষই। ট্যাংক, মিসাইল কামান এবং যুদ্ধবিমান নিয়ে তৈরি ছিল দুই দেশ। দু'দিন আগেই পশ্চিমবাংলায় তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে চিনকে মাথায় রেখে।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয় শঙ্কর এবং চিনের ওয়াং- ই দুজনেই মনে করেন এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে দু দেশের ভেতর স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। তাই এই পরিস্থিতি দ্রুত শেষ হোক চান তারা। গত ৯ এপ্রিল শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল দু'দেশের কমান্ডার পর্যায়। তেরো ঘন্টা কথা বলেও কোন রাস্তা বের হয়নি। এখন দেখার দ্বাদশ কমান্ডার বৈঠকের পর দুই দেশ কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।