প্রায় ৭ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক আদান-প্রদান হয়েছে দুই দেশের। চিন থেকে পণ্য কেনা হয়েছে ৫ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের। পরিসংখ্যান বলছে, এই অঙ্ক গত বছরের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের তুলনায় কম হলেও চোখ কিন্তু কপালে ওঠার মতোই। এমনকী আমেরিকা এবং আমিরাত থেকে যে পরিমাণ আমদানি করেছে ভারত, সেই তুলনায় চিনের একার থেকেই আরও বেশি টাকার জিনিস কেনা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য রাজনৈতিক পরিসরে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
advertisement
বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন কোথায় গেল প্রধানমন্ত্রী মোদির আত্মনির্ভর ভারত? বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশে তৈরি ঘুড়ির মাঞ্জা থেকে এলইডি আলো কেনার ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর কিছুটা অস্বস্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন শহরে শুরু হওয়া চিনা সংস্থার রেলের কাজ বাতিল করেছিল কেন্দ্র, নিষিদ্ধ করা হয়েছিল একাধিক অ্যাপ।গালওয়ান ঘটনার পরে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছিল চিন বিরোধী হাওয়া। চিনা পণ্য বর্জন করার ডাক ছড়িয়ে পড়েছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।
কিন্তু তারপর পরিস্থিতি যেন অনেকটাই শিথিল। আইপিএল ফিরে এসেছে চিনা স্পনসর ভিভো। বাণিজ্য মন্ত্রক অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে এই সংখ্যাটা আগের আমদানি শর্ত অনুযায়ী চিন থেকে আসা। সীমান্ত সংঘাতের পর আমদানির ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা বহাল থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভরতার পথে হাঁটার বার্তা বৃথা যাবে না। তবে প্রক্রিয়াটা খুব সহজ নয়।
ইতিমধ্যেই সমরাস্ত্র তৈরির ব্যাপারে আত্মনির্ভরতার জ্বলন্ত উদাহরণ রেখেছে ভারত। বাকি ক্ষেত্রেও দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রক। এদিকে আমেরিকার পক্ষ থেকে কৌশলগতভাবে চাপ বাড়ানো হয়েছে চিনের ওপরে। ট্রাম্প জমানায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হলেও বাণিজ্য ক্ষেত্রে খুব একটা লাভ হয়নি ভারতের। বাইডেন জমানায় ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ব্যাপার প্রাধান্য পাবে এমনটাই আশা ভারতীয় শিল্পপতিদের।