আরও পড়ুন 'লকডাউন উঠলেই ফিরব',শেষবার বাড়ির সঙ্গে এই কথাই হয় সেনা জওয়ানের! ফিরলেন তবে...
বিশেষজ্ঞদের মতে, নানা দিক খতিয়ে দেখে, তাঁরা ভারতেকেই এগিয়ে রাখছেন চিনের থেকে৷ মার্কিন ওয়েবসাইট CNN-এর দাবি শেষবার যখন ভারত-চিন মুখোমুখি হয়েছিল, তখন থেকে বদলেছে পরিস্থিতি৷ ধীরে ধীরে অনেকটা শক্তি বাড়িয়ে ভারত৷ দুই দেশের ক্ষমতার মূল্যায়ন করলে কী দাঁড়ায়, দেখে নেওয়া যাক---
advertisement
পারমাণু শক্তি--
বিশ্বের কোনও দেশই চায় না একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে৷ ভারত ও চিনের ক্ষেত্রেও তাই৷ তবে জানিয়ে রাখা যাক যে, দুই দেশের হাতেই এই ক্ষমতা রয়েছে৷ ১৯৬৪-এ পারমাণবিক ক্ষমতাশীল দেশ হয় চিন৷ তবে ভারত সেই ক্ষমতার অধিকরী হয় ১৯৭৪ (১০ বছর পরে)৷
-স্টকহোম ইন্টারন্যাশনল পিসের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর ভারতের হাতে আরও ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র এসেছে৷
-চিনের মোট ৩২০ পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ভারতের ক্ষেত্রে তা ১৫০টি৷
সামরিক ক্ষমতা-
-চিনের ২৭০টি ফাইটার জেট রয়েছে৷ ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর জন্য ৬৮টি এয়ারক্রাফট রয়েছে৷
-এই বছর মার্চে বেলফার রিপোর্টে প্রকাশিত খবর যে, চিনা সীমান্তে ভারতীয় এয়ারবেসের সংখ্যা বহু৷ যার থেকে সহজেই আক্রমণ চালানো যাবে৷
-চিনা বায়ুসেনার ৮টি এয়ারবেস রয়েছে সীমান্তে৷ কিন্তু এগুলি মূলত অসামরিক এয়ারফিল্ডে অবস্থিত৷ সেখান থেকে হামলা চালানো কিছুটা মুশকিল৷
-তিব্বত ও জিয়াংয়ং এয়ারবেস অনেকটা উঁচুতে৷ খারাপ আবহাওয়ার জন্য চিনা বিমান বেশি অস্ত্র নিয়ে উড়তে সক্ষম নয়৷
-বেলফার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারতের মিরাজ ২০০০ বা সু ৩০ সব সময়, সব আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম৷ কিন্তু চিনের জেট জে ১০ সেটা পারে না৷
আরও পড়ুন ঠিক-ভুল সব পরিষ্কার, LAC-র ঘটনায় তাদের দোষ দেওয়া যাবে না, বলছে চিন
-সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে ভারত অনেকটা এগিয়ে৷ বলা হচ্ছে যে চিনের যুদ্ধের স্মৃতি বহু পুরোন৷ শেষবার ১৯৭৯-এ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সামিল হয়েছিল চিন যাতে তারা হারে৷ অন্যদিকে কাশ্মীরে প্রতিনিয়ত পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়ে চলেছে ভারতীয় বাহিনী৷ কার্গিলের স্মৃতিও টাটকা৷ তাই অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে ভারত৷
-তিব্বত ও LAC-তে ভারতের বাহিনীর সংখ্যা প্রায় ২২৫০০০৷ অন্যদিকে চিনে ক্ষেত্রে সেটা ২০০০০০ থেকে ২৩০০০০৷ এই সংখ্যাটা খুব সহজে বাড়িয়ে ফেলতে পারে চিন৷ কিন্তু খারাপ রাস্তার ফলে খুব সহজে চিন এই কাজটা করতে পারবে না৷ এমনকি অবস্থানগত সুবিধার জন্য তিব্বত সংলগ্ন রেলপথ উড়িয়ে দিতে পারে ভারত, যার ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারে চিন৷