২০১৬ সালে এই জল প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় প্রায় ২৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই সেই সময় কাজ থমকে যায়। মাঝে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা বছর। তবে সেই জমি সমস্যা অবশেষে মিটেছে। তাই চলতি বছরে শুরুতেই শুরু হতে চলেছে জল প্রকল্পের কাজ।
advertisement
সাঁকরাইলের মানিকপুর জেটিঘাট সংলগ্ন এলাকায় এই জলপ্রকল্পের জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখান থেকেই নদী থেকে জল তোলার কাজ হওয়ার কথা। সেই জল শোধনের জন্য যাবে অন্যত্র। প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরের শোধনাগারে। ভারত কো-অপারেটিভ সংলগ্ন এলাকায় জল শোধন হবে। সেই পরিশুদ্ধ জল এরপর পৌঁছবে যাবে মানুষের বাড়ি বাড়ি।
আরও পড়ুন: পর্বতারোহণ লড়াই করার মানসিকতা তৈরি করে: পিয়ালী বসাক
২০১৬ সালে এই প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তার পরিমানও কিছুটা বাড়ানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। জল নদী থেকে তুলে শোধনাগারে পৌঁছনো এবং শোধনাগার থেকে পরিশুদ্ধ জল পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছনোর কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। খতিয়ে দেখেন সাঁকরাইল কেন্দ্রের বিধায়ক, পিএইচই কর্তৃপক্ষ, সাঁকরাইলের বিডিও, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, স্থানীয় মানিকপুর পঞ্চায়েত প্রধানরা।
সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার জানান, সাঁকরাইল ব্লকের সমস্ত পরিবারের কাছে জল পৌঁছে যাবে। সেই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ব্লক ডোমজুড়, পাঁচলা ও উলুবেড়িয়ার আংশিক বাসিন্দারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তিনি জানান, ইলেকট্রিক মিটারের কনজিউমার আইডি অনুযায়ী প্রতিটি পরিবার জলের কানেকশান পাবে। একটি আইডিতে একটি পানীয় জলের কানেকশন পাওয়া যাবে।
রাকেশ মাইতি






