নদীর উপর তৈরি কাঠের সেতুটি বড় নৌকা চলাচলের জন্য ফোল্ডিং কপিকলের মাধ্যমে সেতু এক অংশ উপরে উঠে যায় নৌকা এলেই। কাঠের এই সেতু দিয়ে সাইকেল বাইক টোটো অটো বা ছোট মালবাহী গাড়ি ও প্রাইভেট কার অনায়াসে যাতায়াত করে। সেতু দুটি তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি জয়ন্ত পাল জানান, গত প্রায় ২ দশক আগে প্রশাসনের অনুমতিতে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করে কাঠের দুটি সেতু তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হার মানাতে পারেনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা! রিমোর লক্ষ্য নর্থ চ্যানেল
সেই ২০০২ সাল থেকে সেতু পারাপারের ভাড়া এখন অপরিবর্তিত। শুরুতে যে ভাড়া নির্ধারিত হয়েছিল ছাত্রদের জন্য ২৫ পয়সা এবং অন্যান্য যাত্রীদের থেকে ৫০ পয়সা ও গাড়ির প্রতি ৩ টাকা। ওই ব্যক্তি জানায় বর্তমানে সেতু মেরামত করতে মোটা টাকা ব্যয় হচ্ছে খরচ বাড়ছে তবে ভাড়া না বাড়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই বিষয়ে নিয়ে তিনি প্রশাসনের কাছে সাহায্য প্রার্থী বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ অন্ধকারাচ্ছন্ন রাস্তায় পঞ্চায়েতের তৎপরতায় ফিরল আলো
অন্যদিকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারকে ফাঁকি দিয়ে এতদিন সেতু পারাপারের টাকা সংগ্রহ করছেন। এ প্রসঙ্গে শ্যামপুর নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায়চৌধুরী জানান, ব্রিজটি নির্মাণে সরকার দৃষ্টিপাত করুক। পাকাপাকি ভাবে ব্রিজটি তৈরি হোক তা সাধারণমানুষের দাবি। উত্তম বাবু সেতু পারাপার প্রসঙ্গে বলেন, বেসরকারি ভাবে দায়িত্ব নিয়ে পারাপার অলাভজনক হলে সেই পরিষেবা কেউ দিত না। এ প্রসঙ্গে শ্যামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক কালিপদ মন্ডল জানান, সরকারিভাবে ব্রিজটি খুব শীঘ্রই তৈরি হবে, নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
Rakesh Maity