রাসপূর্ণিমার দিন পুজো অনুষ্ঠান দিয়ে সূচনা হয় উৎসবের, তবে পাকাপাকি মেলা বসতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ দিন। তার পর প্রায় এক মাস থাকে মেলা। এই একমাস ধরে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য মানুষজন, জেলার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর থেকেও মানুষজন আসেন মেলাতে।
এই মেলার বৈশিষ্ট্য হল বেশ কিছু জিনিস যা সারা বছর অন্যত্র কিনতে না পাওয়া গেলেও মানুষকে অপেক্ষা করে থাকতে হয় রাস মেলার জন্য। গত দু'বছর করোনার জন্য থমকে পড়েছিল। এবার সেই পুরনো ছন্দে জমাটির রাস মেলার ভিড়। একদিক থেকে বসেছে বিভিন্ন নাগরদোলা, বিভিন্ন খাবারের স্টল একেবারে পরিপাটি মেলা। সারা সপ্তাহ জুড়ে মানুষের আনাগোনা থাকলেও শনি ও রবিবার সবথেকে বেশি ভিড় জমে মেলাতে।
advertisement
আরও পড়ুন : বিনামূল্যে মিলবে সব পরিষেবা, বর্ধমানে সব ওয়ার্ডে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ছে পুরসভা
এ বার ৭১ তম বর্ষে পড়ল হাওড়া উলুবেড়িয়ার বিখ্যাত রাসমেলা। সারা বছর মানুষ উলুবেড়িয়া রাসের অপেক্ষায় থাকেন, মেলায় নানা জিনিসের পসরা, দেড় থেকে দুশো দোকান, মেলায় কেক পেস্ট্রি থেকে নানা সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান থাকে।
আরও পড়ুন : রাজ্যের এই প্রাথমিক স্কুলে নেই স্কুলছুট, বাড়ছে পড়ুয়ার সংখ্যাও! তার কারণও চমকপ্রদ
সমস্ত কিছু মিলবে এই মেলায়, এর পাশাপশি আকর্ষণীয় মডেল, রামায়ণ মহাভারতের বিভিন্ন চরিত্রের অসংখ্য ছোট বড় মডেল, বিশেষ করে উলুবেরিয়া রাসের আকর্ষণ হল অটোমেটিক মডেল। কোনটি স্থির রয়েছে, তো কোনওটি নড়াচড়া করছে মডেল। যা ছোটদের পাশাপাশি বড়দের মন আনন্দে ভরে উঠছে। উদ্যোক্তা রঘুনাথ দে জানান, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত এই মেলায়।