মুন্সীরহাট ব্রাহ্মণপাড়া বিশালক্ষী মাতা ঠাকুরানি মহাশ্মশান। মা কালীর মন্দির সেজে উঠছে নতুন রূপে, দক্ষিণেশ্বরের ভবতারুণী কালী মায়ের মন্দিরের আদলে। জানা যায়, গত তিন থেকে চার বছর আগে মন্দির তৈরীর উদ্যোগ। মন্দিরের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মন্দিরের গা বেয়ে চলে গেছে কানা নদী। জানা যায়, এই শ্মশান কালী মন্দিরের সঙ্গেই রয়েছে সাধনা পীঠ। তারাপীঠের ন্যায় বিশালক্ষী মাতা পঞ্চবটি ও পঞ্চমন্ডি আসন। যা সাধকদের তন্ত্র সাধনার একটি পীঠ।
advertisement
স্থানীয়দের কথায় জানা যায়, গত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নিরিবিলি শান্ত প্রকৃতিক পরিবেশ। এই মহা শ্মশান ছিল মদ ও অসামাজিক কাজের আসর। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের আস্তানা। মহাশ্মশানের এই অসামাজিক পরিবেশ প্রভাব ফেলতে পারে গ্রামে। সে কথা ভেবেই গ্রামের কয়েকজন মানুষ এগিয়ে আসেন। তাদের মধ্যেই অন্যতম হলেন তপন চক্রবর্তী। যিনি নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেছিলেন মন্দির নির্মাণের কাজ। বর্তমানে গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে বহু মানুষ আসেন মন্দির ও মায়ের দর্শনে।
হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর ব্লকের অন্তর্গত। মুন্সিরহাট কানা নদী তীরবর্তী ব্রাহ্মণপাড়া বিশালক্ষী পঞ্চমুন্ডি আসন মহাশ্মশান। দিনে দুবেলা পুজো অনুষ্ঠিত হয় মায়ের। প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যা ও দীপান্বিতা কালী পুজোতে জাঁকজমক করে পুজোর আয়োজন। কৌশিকী অমাবস্যায় বিশালক্ষী মায়ের পঞ্চমুন্ডী আসনে হোম যজ্ঞ হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা বছর অমাবস্যা ও বিশেষ দিনগুলিতে মায়ের পুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত জানালেন মন্দিরের পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তী।
দক্ষিণ মুখী বিশাল উচ্চতা বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দির। মন্দিরের দক্ষিণ পূর্ব দিকে রয়েছে বিশালক্ষী মাতা পঞ্চমুন্ডি আসন। মন্দিরের সামনে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ফলের বাগান। উদ্যোক্তা তপন চক্রবর্তী জানান, সাতটি গ্রামের মহাশ্মশান এটি। কিছু দিনের অপেক্ষাr পর মন্দির উদ্বোধন উৎসব। তিনি জানান, মন্দিরের সামনে একটি বিশাল আকৃতির শিব মূর্তি তৈরীর পরিকল্পনা রয়েছে।
চার বছর আগে মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে মন্দির। স্থানীয় ব্যক্তি চন্দন পাখিরা জানান, একসময় নির্জন স্থান মানুষ আসতে ভয় পেত। কিছু ভাল মানুষের সহযোগিতা নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি তীর্থস্থান। বর্তমানে নির্দ্বিধায় এই স্থানে বহু মানুষ আসেন মায়ের কাছে।
রাকেশ মাইতি