জানা যায়, এক সময় গ্রাম উজাড় হতে শুরু করেছিল মড়কে। সে সময় কোন কিছুতেই রক্ষা পাচ্ছিলনা গ্রামের মানুষ। কথিত রয়েছে, গ্রামের এক সাধক ব্রাহ্মণ মায়ের স্বপ্নাদেশ পান। সে সময় তিনি গ্রামে সিদ্বেশ্বরী মা কালীর প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। তার পর মায়ের কৃপায় গোটা গ্রাম রক্ষা পায়। সেই থেকে আজও মা কালীর আরাধনায় মেতে ওঠেন গঙ্গাধরপুর গ্রামের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন – “রাজ্যপালেরা কীভাবে শাসন করছেন?’’- ফের বোমা ফাটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গ্রামে এক মাত্র এই সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির। মা কালীর পুজো দিতে হলে এই মন্দিরে দিতে হয়। অন্য কোনো কালী মূর্তি গ্রামে নিয়ে আসা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। আবার শরৎকালে এই কালী মা তিথি নিয়ম মেনে দুর্গা রূপেও পুজো হয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন – IPL 2023: মাঠে মিনি লঙ্কাকাণ্ড! ডাগআউটের দিকে নাট-বোল্ট ছোঁড়া হল, তারপর
গ্রামেরবাসীদের কথা জানা যায়, এই মা খুব জাগ্রত। ভক্তিভরে ডাকলে সারা দেন দয়াময়ী মা। এমন কথাও শোনা যায় যে, গ্রামের পূণ্যবান মানুষ মায়ের দেখাও পেয়েছেন। আজও মায়ের কৃপায় কঠিন রোগ মুক্তি ঘটে মানুষের। বাৎসরিক বারোয়ারি পুজো ছাড়াও, বছরভর ব্যক্তিগত মানসিক পুজো অনুষ্ঠিত হয় মন্দিরে। প্রতি বছর বাৎসরিক পুজোয় হাজারও ভক্ত সমাগম ঘটে। পুজোর দিন শুকনো উপবাস করেন গ্রামের মানুষ। মায়ের পুজো সারাদিন রাত চলে। দুই বেলা দণ্ডি, ধুনো পড়ানো সহ পুজোর নানা রীতি রয়েছে মন্দিরে।
RAKESH MAITY