এক সময় এই দেউলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ১০ টি বেড়ে পরিষেবা চলত। তবে বর্তমানে বেহাল দশা। আর রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা হয় না। কোনরকমে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চলে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগীদের বছরভোর এখানে টিকাকরণ চলে। গোটা চত্বর নোংরা আবর্জনায় ঢেকে গিয়েছে। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এখানে আস্তানা গাড়ে। এমন এক চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে চলছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র।
advertisement
আরও পড়ুন: ফোয়ার সেচে কম জলেই ফলছে ফসল, বিপুল লাভ কৃষকদের
যে ঘরে শিশুদের পড়ানো হয় সেখানেই ঢাঁই করে রাখা আছে শুকনো কাঠ, চাল, ডালের বস্তা, বিভিন্ন আসবাবপত্র। ওই ঘরের চারিদিকে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছের জঙ্গল গড়ে উঠেছে। এই নোংরা পরিবেশে পোকামাকড়ের উৎপাতও যথেষ্ট বেশি। আতঙ্কিত অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্র অন্যত্র সরানোর বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও লাভ হয়নি। এই বিষয়ে দেউলপুরের পঞ্চায়েত প্রধান শিখা বাগ জানান, খুবই বিপজ্জনকভাবে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি চলছে। একটি জমি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি স্থানান্তর করার জন্য গত বছর সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠান হয়। কিন্তু এখনও কোনও ফিডব্যাক আসেনি। তাঁর আশা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
রাকেশ মাইতি