দাবা খেলার প্রথম প্রচলন প্রাচীন ভারতবর্ষেই হয়েছিল। বিশ্বনাথ আনন্দের মত বিশ্ব বিখ্যাত দাবা খেলোয়াড় শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর গর্ব। বর্তমানে বাংলাতেও বেশ কয়েকজন গ্র্যান্ড মাস্টার আছে। ফলে পেশাদার স্তরে দাবা খেলার প্রচলন যথেষ্ট। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে দাবা খেলার প্রচলন আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। আগে পাড়ায় পাড়ায়, বাড়িতে বাড়িতে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা দাবার বোর্ড নিয়ে বসে যেত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ও মোবাইলের মাধ্যমে অত্যাধুনিক ডিজিটাল গেম সেই অভ্যাসটাই বদলে দিয়েছে। তাতে ক্ষতি বই লাভ কিছু হচ্ছে না!
advertisement
আরও পড়ুন: কেন এভাবে মৃত্যু হল উঠতি তরুণ ক্রিকেটরের? চাঞ্চল্য এলাকাজুড়ে
আর তাই বিশিষ্ট দাবা প্রশিক্ষক প্রণব রায় এই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি দাবা খেলার সঙ্গে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত। প্রণববাবু জানান, দাবা খেলায় বরাবরই হাওড়া জেলা প্রথম সারিতে থাকে। অতীতে হাওড়া থেকে বহু প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে এসেছে। তবে বর্তমানে হাওড়া জেলায় দাবা সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কিছু সাংগঠনিক সমস্যা, সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের মানসিকতার পরিবর্তনের জেরে সেভাবে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসছে না। এই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী প্রণব রায় কখনও পৌঁছে যাচ্ছেন স্কুলে স্কুলে। সেখানে গিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে দাবা খেলা নিয়ে উৎসাহ তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি নিজের উদ্যোগে একটি দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছেন। সেখানে উৎসাহী, প্রতিভাবান দাবা খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাঁর থেকেই জানা গেল দাবা খেলা নিয়ে পুরো ছবিটা হতাশার নয়। এখনও বেশ কিছু অভিভাবক ছেলেমেয়েদের নিয়ম করে দাবা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন।
রাকেশ মাইতি