জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভাল বাজারদর থাকলেও ফুল চাষিরা ক্ষতির মুখে। বিগত কয়েক বছরে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গোলাপ গাছে সমস্যা দেখা দিয়েছে। গাছের পাতা কুঁকড়ে ঝড়ে পড়ছে। ফুল ও কুঁড়ি নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপ চাষিরা। সমস্যা দেখা দিলে সরকারি আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে এসেছেন। এ বছরও একাধিক বার তাঁরাএলেন। তবে গত পনের-ষোল বছর ধরে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই সমস্যা থেকে পুরোপুরি সমাধান পাওয়া যায়নি।
advertisement
গোলাপ চাষি রঞ্জিত খাঁড়া জানান, তিনি ২২ থেকে ২৩ শতক জমিতে এ বার গোলাপ চাষ শুরু করছেন। প্রথম পর্যায়ে খরচ হয় এক লক্ষ থেকে এক লক্ষ কুড়ি হাজার পর্যন্ত। দু'মাস পর থেকে জমি থেকে কিছুটা আয় আসতে শুরু করে। আয় অন্যদিকে খরচ। এ ভাবেই সারা বছর কোনও রকম সংসার চলে। সে ভাবে লাভের অংশ পাওয়া যায় না। তবে সারা বছরের পর লাভের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ঠান্ডার জবর কামড়! এরইমধ্যে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের চোখ রাঙানি
আরও পড়ুন : রাতারাতি তারকা তিতাস! বিশ্বকাপ জয়ী দিদিই এখন আইকন খুদে ক্রিকেট শিক্ষার্থীদের
গত প্রায় ৪০ বছর ধরে এলাকায় গোলাপ চাষ হচ্ছে বলেই জানান রঞ্জিতবাবু। প্রথমদিকে বেশ ভালো আয় হয়েছে। কিছুটা সঞ্চয় করতে পেরেছিলেন গোলাপ চাষিরা। বর্তমান এই সমস্যার কারণে ধীরে ধীরে সেই সঞ্চয় শেষের পথে।
এই সময় ধাক্কা খাচ্ছেন সমস্ত গোলাপ চাষি। এই ১৫-১৬ বছরে প্রথম দিকে দু-এক বছর ছাড়া বাগানের সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু শেষ কয়েক বছর প্রায় প্রতি বছর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে লাভের কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন সমস্ত গোলাপ চাষি। বাগানে ক্ষতি হলে, যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় তা সামান্য। তাতে কোনও ভাবেই ক্ষতি ঠেকানো যায় না। তাঁরা চাইছেন বাগান বিপদমুক্ত হোক সম্পূর্ণভাবে। তা হলেই কয়েক শত গোলাপ চাষির সুদিন ফিরবে। সেই আশাতেই দিন গুনছেন বাগনানের কয়েক গোলাপ চাষিরা।
রাকেশ মাইতি