পাঁতিহাল-ধুলোগোর রাজ্য সড়কের দুই ধার বরাবর রয়েছে বাবলা, সিরিস, আকাশপানি, কৃষ্ণচূড়া,লম্বু জাতীয় বিভিন্ন গাছ। সাধারণত রাস্তার ধার বরাবর গাছগুলি লাগানো হয় বন বিভাগ ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে। পরিবেশ রক্ষার দিক গুরুত্ব রেখে সরকারি-বেসরকারি ভাবে দারুণভাবে চলছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। মাঠ ঘাট গ্রামীণ সড়ক রাজ্য সড়কের পার্শ্ববর্তীতে চলছে বৃক্ষরোপণ।
হাওড়ার জগতবল্লভপুরও পিছিয়ে নেই বৃক্ষরোপণে, ব্লকের সর্বত্রই চলছে নিয়ম করে বৃক্ষরোপণ। পাঁতিহাল-ধুলাগর রোডে জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে নতুন করে কয়েক হাজার চারা গাছও লাগানো হয়েছে। উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁতিহাল অঞ্চলের রাজ্য সড়কের উপর সারি সারি গাছ শুকিয়ে যাওয়ার ঘটনা। ওই এলাকায় এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি গাছ শুকিয়ে পড়েছে। ঘটনাটি এলাকার মানুষের নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
advertisement
একসঙ্গে এতগুলো গাছ কী কারণে শুকিয়ে পড়ল তা অজানা। এলাকার একাংশের মানুষ মনে করছেন কোন অসাধু মানুষ তার স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও মনে করছে তবে এর পাশাপাশি অন্য কারণও হতে পারে। পরিবেশ কর্মী শ্রীকুমার জ্যোতি ব্যানার্জি জানান এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক তদন্ত করা দরকার।ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বেচারাম বোস জানান, গাছের ক্ষতি করবে এলাকায় এমন মানুষ আছে বলে মনে হয় না। তিনি মনে করছেন গাছগুলো বার্ধক্য জনিত কারণ বা পোকার আক্রমণে শুকিয়ে পড়ছে গাছ। এলাকার মানুষ ঘটনার তদন্তের দাবি জানালেও পঞ্চায়েত উপপ্রধান এ বিষয়ে কোনো রকম আগ্রহ দেখাননি।
রাকেশ মাইতি