আরও পড়ুন: ছাপা শাড়ির দাপটে বাজার হারিয়েছে তাঁতের শাড়ি, ধ্বংসের মুখে বাংলার প্রাচীন শিল্প
লাউয়ের খোলকের উপর ফাঁপা কাঠের দন্ড। দণ্ডের নিচে থাকে গোলাকার লাউয়ের খোসা বা খোলক লাগানো থাকে। খোলকের উপর কাঠের অংশে শৌখিন ডিজাইন বা নক্সা থাকে। যদিও সব যন্ত্রতে লাউয়ের খোলক ব্যবহার হয় না। এই সমস্ত যন্ত্র দেশের পাশপাশি বিদেশেও রফতানি হয়। গ্রামে বংশ পরম্পরায় বহু মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। দাদপুরে ৬-৮ টি কারখানা আছে। সব মিলিয়ে গ্রামের প্রায় ১০০-১৩০ টি পরিবার এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। স্থনীয় কারিগররা জানান, একটি তানপুরা বা সেতার তৈরি করতে লাউ কাটিং বা কাঠ ছোলাই থেকে পালিশ পর্যন্ত ৬-৭ জন কারিগরের হাত লাগে।
advertisement
এই সব তারযন্ত্র তৈরির লাউ আসে হাওড়ার উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত লাগোয়া উদয়নারায়নপুর ব্লকের জয়নগর ও পালিয়াড়া, এবং হুগলি জেলার পশপুর এবং রঞ্জপুর থেকে। দুই জেলার পাশাপাশি চারটি গ্রামে বড় লাউ চাষ হয়। কলকাতা থেকে আমদানি করা হয় কাঠ। যন্ত্র শিল্পী অসিত হালদার এবং সমরেশ হালদার জানান, ভারতীয় সঙ্গীতের প্রায় সব ধরনের তার যন্ত্রই এখানে তৈরি হয়। দেশের ও বিদেশে এর চাহিদা বেশি। সারা বছর ধরে কারখানায় বা মানুষের বাড়িতে তৈরি হয়। কলকাতা ও বাইরের রাজ্যে এবং দেশের বাইরে পাঠানো হয়। অল্প কিছু খরিদ্দার সরাসরি গ্রামে আসেন। এই শিল্পে যুক্ত থাকা মানুষ দক্ষ কারিগর হলেও মজুরি বৃদ্ধি না হওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন তাঁরা।
রাকেশ মাইতি