Malda News: ছাপা শাড়ির দাপটে বাজার হারিয়েছে তাঁতের শাড়ি, ধ্বংসের মুখে বাংলার প্রাচীন শিল্প
- Reported by:HARASHIT SINGHA
- news18 bangla
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
তাঁতের শাড়ির আর চাহিদা নেই, ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলার প্রাচীন তাঁত শিল্প
মালদহ: দুর্গাপুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই ঠক- ঠক আওয়াজ শোনা যেত গোটা গ্রামজুড়ে। নাওয়া-খাওয়া ভুলে ব্যস্ততার সঙ্গে চলত একের পর এক শাড়ি বোনার কাজ। পুজোর সময় অতিরিক্ত শ্রমিক রেখে কাজ করতে হয়েছে এক সময়। একে অপরের দিকে দেখার সময়টুকু মিলত না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সেসব অতীত। ম্লান হয়েছে গ্রামের ঠক-ঠক তাঁত বোনার আওয়াজ। এমনকি অধিকাংশ তাঁতি বাধ্য হয়েছেন অন্য পেশায় যুক্ত হতে। কারণ তাঁতবুনে আর সংসার চলছে না। এমনই করুন অবস্থা পুরাতন মালদহের সাহাপুর তাঁতি পাড়ার।
প্রবীণ তাঁতশিল্পী নিতাই দাস বলেন, এক সময় আমরা নিজেরাই শাড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতাম। এখন আর তাঁতের তৈরি শাড়ির বিক্রি নেই। বাজার ছেয়েছে ছাপা শাড়িতে। বর্তমান প্রজন্ম এই শিল্পের সঙ্গে আর যুক্ত হচ্ছে না। একসময় এই গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবার তাঁত শিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিল। সময়ের সঙ্গে কমেছে তাঁতে বোনা শাড়ির কদর। ছাপা শাড়ি বাজারে আসতেই ধীরে ধীরে তাঁতের তৈরি শাড়ির কদর কমতে শুরু করে। আর তাতেই কাজ হারান পুরাতন মালদহের সাহাপুরের তাঁতিরা।
advertisement
advertisement
শাড়ির কদর কমতে থাকায় তাঁতিরা শুরু করেছিলেন গামছা বোনার কাজ। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যায়নি এই শিল্পকে। তখন থেকে ধীরে ধীরে কাজ ছাড়তে শুরু করেন তাঁতিরা। এখন গুটি কয়েক তাঁতি তাদের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পেশাকে ধরে রেখেছেন। কারণ তাঁদের বয়স হয়েছে, তাই অন্য কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন না। তবে নিজেদের কাজ করছেন না, এখন তাঁরা শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। খাদির বিভিন্ন কাজের বরাত পান। সেই কাজ তুলে দিলে দৈনিক পারিশ্রমিক পাওয়া যায়। তাঁত শিল্পী অচিন্ত্য দাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। এখন আর তাঁতের তৈরি শাড়ি, গামছার কদর নেই। খাদির কাজ করছি শ্রমিক হিসেবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে হয়তো সাহাপুর গ্রামে আর তাঁত চলবে না। হারিয়ে যাবে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প।
advertisement
হরষিত সিংহ
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Sep 13, 2023 6:24 PM IST








