জানা যায়, সেই আশ্রমে ঋষি মনিনাথ স্বামী তার সতীর্থদের নিয়ে থাকতেন, পরবর্তী সময়ে ঋষি মনিনাথ স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সমাধিস্থলে একটি মন্দির স্থাপন করা হয়। সেই মন্দিরের অভ্যন্তরে কষ্টি পাথরে শিবলিঙ্গ রেখে পুজো পাঠ শুরু করা হয়েছিল, তা আজ থেকে প্রায় সাতশো বছর আগে রায় রাজা দেবনারায়ণ রায়ের হাত ধরে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঐরাবতকূল কাছে এলেই বাজবে অ্যালার্ম, ডুয়ার্সের রেললাইনে বসছে সেনসেটিভ সেন্সর
আজও নিয়ম রীতি মেনে প্রতিদিন দুই বেলা শিবের পুজো অর্চনা চলে, পূর্বমুখী মন্দিরের ভিতরে রয়েছে কালো কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গ। জানা যায়, একসময় এটি দশনামী শৈব্যমঠ ছিল, সে সময় এই মন্দিরটি তারকেশ্বরের মহন্তদের দ্বারা পরিচালিত হত বলে জানা যায়।
বর্তমানে এটি স্থানীয় একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ঠাকুরের নামে গড় ভবানীপুর বাজার, সেই বাজারের মালিকিনা রয়েছে ঠাকুরের। পাশাপাশি এর দেবত্ব সম্পত্তি রাজারা দান করে গেছেন, বেশ কিছু অংশ জমিতে এখনো চাষবাস হয়। তার যে রাজস্ব প্রাপ্য অর্থ এবং মন্দির সংলগ্ন পুকুর তার যে রাজস্ব সেই সমস্ত কিছু দিয়েই এই মন্দিরের পুজো আর্চনা চলে। প্রতিবছর বাংলার শ্রাবণ মাসের শেষ রবিবার মনিনাথ স্বামীর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন।
রাকেশ মাইতি