রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত মঙ্গলবার থেকেই বহু চর্চিত চরিত্র হয়ে উঠেছে এই 'রহস্যময়ী' নারী। নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়। তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী। কেউ কেউ আবার বলছেন, স্ত্রী নয়, লিভ ইন পার্টনার। দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের দাবি, এই গোপাল এবং তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর কাছেই গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া কোটি কোটি টাকা। হৈমন্তীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে ৬৮ লক্ষ এবং অন্য অ্যাকাউন্টে ১২ লক্ষ টাকা গিয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, গোপাল-হৈমন্তীর একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৩ একর জমির মালিক গোপাল! খুলতে চেয়েছিলেন বি এড কলেজও, কোথা থেকে আসত এত টাকা?
নাম আগেই জানা গিয়েছিল। শুক্রবার জানা গেল এই রহস্যময়ী রমণীর বাড়ির ঠিকানা। সূত্রের খবর, হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ার বাকসারা সংলগ্ন এলাকায়। আরও স্পষ্ট ভাবে বললে উত্তর বাকসারার কাটুরিয়া পাড়ায়। যদিও এটা হৈমন্তীর বাপের বাড়ি। বর্তমানে এই ঠিকানায় থাকেন হৈমন্তীর অসুস্থ বাবা, মা এবং বোন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগেও নাকি এই বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, "হৈমন্তীর পরিবারের লোকজন যথেষ্টই ভাল। তবে তাঁদের মেয়ে কোথায়, কার সঙ্গে যুক্ত তা বলা খুবই মুশকিল।" এদিন একাধিকবার ডাকাডাকি করার পরে হৈমন্তীর মা দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। তিনি জানান, বাড়িতে তাঁর ছোট মেয়ে রয়েছে। হৈমন্তী নেই। বলেন, তাঁর বড় মেয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। মাঝে মধ্যে আসত। তবে তাঁর স্বামীর কাজ ও আর্থিক বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানা নেই। এমনকি, গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তীর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পরে এবার গোপাল-হৈমন্তী! বেহালা-ই কি তবে নিয়োগ দুর্নীতির মন্দির?
এলাকার প্রতিবেশীদের দাবি, প্রায়ই স্বামী গোপালকে নিয়ে দামী বিলাসবহুল গাড়ি করে বাড়ি আসত হৈমন্তী। তবে সে অনেক আগের কথা। স্থানীয় বসিন্দারা অনুমান, হাওড়ার এই বাড়িতেই সম্ভবত লুকিয়ে রয়েছেন হৈমন্তী। তাই হয়ত এদিন বাড়ির গেট তালাবন্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
রাকেশ মাইতি