সেই ঘটনার পর চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বাবলুকে ভুলতে পারেনি এলাকার মানুষ। ১৪ ফেব্রুয়ারি এলেই চেঙ্গাইলে ভালোবাসার দিবস নয়, প্রয়াত বাবলু সাঁতরার জন্য কেঁদে ওঠে এলাকাবাসীর মন। সেই সঙ্গে ঘরের ছেলের দেশ রক্ষা করতে গিয়ে জীবন দেওয়ার গর্বও তাঁদের ঘিরে ধরে। তাই এই দিনটি তাঁরা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। দিন কয়েক আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি। এলাকার বিভিন্ন সংগঠন ও গ্রামের মানুষ বিভিন্ন স্থানে সরণ সভা ও সন্ধেয় বাবলু সাঁতরার প্রতিকৃতির সামনে বাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে থাকেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বীর সেনা জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে ৮ থেকে ৮০ সকলেই হাজির হন। প্রতি বছরের মত এই বছরও ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চেঙ্গাইলের চককাশিতে শহিদ বাবলু সাঁতরার বাড়ির সামনে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে তাকে সন্মান জানায় চেঙ্গাইলবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে সেকালের প্রেমিকরা কী করলেন?
স্থানীয় একটি সংগঠন এলাকার গর্ব শহিদ বাবলু সাঁতরার স্মৃতিতে এবার প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে খাদ্য সামগ্রী ও পেন-খাতা তুলে দেয়। শহিদ বাবলু সাঁতরার স্ত্রী মিতা সাঁতরা নিজের হাতে ছাত্র-ছাত্রীদের এই সমস্ত সামগ্রী তুলে দেন। এই দিনটি প্রসঙ্গে প্রয়াত বাবলু সাঁতর মা বনমালা দেবী জানান, "সেই দিন ভোর রাতে ফোনে দুঃসংবাদ এসেছিল। সেই কষ্ট ভোলার নয়! তবে ছেলেকে দেশের মানুষ, গ্রামের মানুষ মনে রেখেছে। প্রতিবছর এই দিন গ্রামের মানুষ ও বাইরে থেকে বহু মানুষ বাড়িতে আসেন দেখা করতে।" বাড়ির সামনেই ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে শহিদ বাবলু সাঁতরার ছবি।
বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বাবলু সাঁতরার মূর্তি। সেখানে বীর সন্তানকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান অভয় দাস, উপ পুরপ্রধান ইনামুর রহমান, উলুবেড়িয়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিরঞ্জন অধিকারী, শহিদ বাবলু সাঁতরার মা বনবালা সাঁতরা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
রাকেশ মাইতি