গ্রাম-সহ গ্রামের পার্শ্ববর্তী মানুষ এই পুজোতেই মেতে ছিলেন সে সময়, কয়েক দশক ধরে গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে পুজো হয়। তারপর থেকে রঘুদেবপুরের বিভিন্ন এলাকা ও পার্শ্ববর্তী গ্রামে এক এক করে বাড়তে থাকে জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে এই পুজো রীতিনীতি মেনে আজও বাসুদেবপুর পশ্চিমপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই পুজোই রঘুদেবপুরের মানুষের কাছে আদি জগদ্ধাত্রী বা আদি মা নামে পরিচিত। আর সেই সাবেকি রীতিনীতি মেনে এ বছরও গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আদি মায়ের আরাধনা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ধুঁকছে বক্সা জঙ্গলের ঝুলন্ত সেতু! গুজরাতের পর সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলার পর্যটকরা
ইতিমধ্যে চলছে তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি, বাসুদেবপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঠাকুর দালানে, প্রস্তুতি থেকেই গ্রামের ছোট থেকে বড় কালীপুজোর শেষে জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দে মেতেছে। কালীপুজো শেষে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মায়ের মৃন্ময়ী রূপ গড়ে তুলছে শিল্পী। বংশ পরম্পরায় শ্যামপুরের বেলপুকুর থেকে প্রতিমা তৈরি করতে আসেন শিল্পী। মা এখানে সাবেকি, নেই কোনও থিমের ছোঁয়া।
আরও পড়ুনঃ 'অসুখী দাম্পত্য, সন্তানকে পৃথিবীতে আনব কিনা বহুবার ভেবেছি', মেয়ের জন্মদিনে যা লিখলেন বৈশাখী...
মূলত জগদ্ধাত্রীর রীতিনীতি মেনে এখানে দুদিন পূজিত হয় দেবী। পুজোয় রয়েছে বলির প্রথাও। তবে এখানে হয় না ছাগ বলি। পরিবর্তে দেবীর উদ্যেশ্যে দেওয়া হয় চালকুমড়ো বলি, ও নানা ধরনের ফল বলি। পুজোয় দেবীকে দেওয়া হয় বিশেষ ভোগও।
রাকেশ মাইতি