কথিত রয়েছে, এই কুণ্ড উৎপত্তি হয় চোখের জলে। প্রচলিত কথা অনুযায়ী, বৃন্দাবন ছেড়ে শ্রীকৃষ্ণ চলে যাওয়ায় সময় রাধার রানীর অশ্রু বা চোখের জলে তৈরি হয়েছিল কুণ্ড। বর্তমানে এই কুণ্ড ‘রাধা কুণ্ড’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: দেব-দেবীর উপর নির্ভর করে চলে সংসার, এভাবেই কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রিনা
advertisement
কথিত রয়েছে এই কুণ্ডর জল কখনও শুকায় না। বহুলা অষ্টমী তিথিতে প্রতিবছর বৃন্দাবনে রাধা কুণ্ডতে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা।এদিন বৃন্দাবনে অসংখ্য ভক্ত সমাগম ঘটে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় এখানে। তবে বহু মানুষের ইচ্ছা থাকলেও নানা কারণে বৃন্দাবন যাওয়া হয়ে ওঠেনা। সেরকমই কয়েকশত মানুষের উপস্থিতি ঘটে হাওড়ার উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি।
নদীর ঘাটে পালিত হল বহুলা অষ্টমী। কয়েকশত ভক্ত সমাগম। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে এখানে পালিত হচ্ছে বহুলা অষ্টমী। এই বিশেষ দিনে ভোর থেকে কয়েক ঘন্টা নানা উপাচারের মধ্যে গঙ্গা পুজো পালন করে থাকে ভক্তরা।
এ প্রসঙ্গে অনাদি কৃষ্ণ দাস জানান, ‘‘শ্রীধাম বৃন্দাবনে গিরিরাজ গোবর্ধনের কাছে রাধা কুণ্ড আছে। তাই এই বিশেষ দিনে শ্রীধাম বৃন্দাবনের লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম হয়। সেখানে স্নান সম্পন্ন করে নানা উপাচারের মাধ্যমে কৃষ্ণের কৃপা পাবার জন্য পুজো দেন ভক্তরা।’’ ভোর থেকে সুরধ্বনি গঙ্গার স্তুতি পাঠ, গঙ্গা বর্ণনা, গঙ্গা অবতরণের কাহিনী ও গঙ্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
রাকেশ মাইতি