বিবেকানন্দের আদর্শে বিশ্বাসী, একজন সমাজ গড়ার কারিগর তিনি।উলুবেড়িয়ার ও আমতার মধ্যবর্তী গ্রামীণ এলাকার বেশির ভাগ পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া। স্থানীয় মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। বহু পরিবারে অর্থনৈতিক অভাবে মাঝপথেই থমকে যায় ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া। অর্থাভাবে বহু প্রতিভা বিকশিত হবার আগেই মাঝ পথে থেমে যায়। সে কথা উপলব্ধি করেই শিক্ষক তরুণ ধারা কয়েকজন সহযোদ্ধা শিক্ষককে নিয়ে তার এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
advertisement
শিক্ষক তরুণ মন্ডল জানান অর্থ উপার্জন নয়, গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালানোই হলো মূল লক্ষ্য। গ্রামের ছেলে মেয়েদের নিয়ে শিক্ষা দানের পাঠশালা গড়েন। কয়েক বছর কাটতে না কাটতেই একের পর এক সফলতা। শিক্ষকের প্রচেষ্টায় হতদরিদ্র পরিবারেও ছেলেমেয়েরাও উচ্ছে শিক্ষার স্বপ্ন দেখার ভরসা পায়।
এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল আরও চমকপ্রদ ফল। পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রী আশি থেকে নব্বই শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কৃতি ছাত্র বা ছাত্রীদের দের অনেকেরই অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে পরিবারে। এমনও রয়েছে কারও লেখাপড়ার খরচ যোগানোতো দূরের কথা, দুবেলা খাবার জোগাতেই হিমশিম খেতে হয় পরিবারকে। তবে সব বাধা বিপত্তি পেছনে ঠেলে সফলতার শিখরে ওরা। এই সফলতার পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম তো রয়েছে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক তরুণ ধারা ছাড়া এই সফলতা সম্ভব হতো না।
আরও পড়ুন: নির্মীয়মাণ মন্দিরের চার চূড়া ভাঙা হয়েছিল রাজার ভয়ে! সেই মন্দির ঘিরে নানা কৌতূহল আজও
অনন্যা কাঁজি এবং হাসিমা খাতুন এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায ৪৬০ এবং ৪৫০ নম্বর পেয়েছে। অনন্যা এবং তার পরিবার জানায়, শিক্ষক তরুণ ধারার সহযোগিতা ছাড়া এক প্রকার অসম্ভব ছিল। শুধু অনন্যা নয় এরকম অনেকেই রয়েছেন। যাদের বিনামূল্যে টিউশন শিক্ষা সামগ্রী থেকে নানা ভাবে সহযোগিতা করেন তরুণ বাবু।বর্তমান সময়ে এমন শিক্ষক সত্যিই অমিল বলছেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরা।
রাকেশ মাইতি