যেকোনও ঝড় বড় গাছেই প্রথম আঘাত হানে। তার ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বড় গাছ। ২০২০ সালের ২০ মে আনফান ঘূর্ণিঝড়ের যে ভয়াবহ তাণ্ডব লীলা। তাতে যেভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। তা আজও রয়ে গেছে। যেভাবে প্রকৃতির উপর ক্ষত চিহ্ন রেখে গেছে তা আগামী কয়েক দশকে পূরণ হওয়া অসম্ভব প্রায়। বিশেষ করে জেলার বহুল অংশে বড় গাছের বেশিরভাগ ভেঙে পড়েছে বা উপরে পড়তে দেখা গেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁশি বাজালেই ঝেপে নামছে বৃষ্টি! গরম থেকে রেহাই পেতে ডাক পড়ছে ‘বারিষকর’-এর! ভাইরাল
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছিল হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে। প্রায় ২০০০ গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঝড়ের দাপটে। এই সমস্ত গাছের কোনটি গুণগত দিক থেকে আবার কোনটি শতাব্দী প্রাচীন আবার কোনটি বিদেশি রেয়ার প্রজাতি। সব মিলিয়ে যাদের গুরুত্ব এই গার্ডেনে অসীম। লুটিয়ে পড়া গাছকে খাড়া করে পুনর্জন্ম। আমফান ঘূর্ণিঝড়ের কিছুদিন পর দেখা যায় শুয়ে পড়া গাছে নতুন পাতার জন্ম। তা দেখেই সেই সমস্ত গাছের অবস্থা বুঝে নতুন করে তুলে দাঁড় করানোর চেষ্টা। আমফান পরবর্তী সময় থেকে এক এক করে বহু গাছ ক্রেনের মাধ্যমে তুলে দাঁড় করানো সম্ভব হয়েছে। উপযুক্ত যত্ন নেওয়ায় পরবর্তী সময় দেখা গেছে। সেসব গাছে আবার নতুন পাতা শাখা-প্রশাখা মেলে বেড়ে উঠছে।
আরও পড়ুন:
এই প্রসঙ্গে, বোটানিক্যাল গার্ডেন জয়েন্ট ডাইরেক্টর ড: দেবেন্দ্র সিং জানান, যে গাছ গুলি বাঁচানো সম্ভব। যে সমস্ত গাছ উপরে পড়েছে অথচ মাটির সঙ্গে শিকড় বেঁচে থাকার মত অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে যে সমস্ত গাছের সংখ্যা কম এবং গুরুত্ব বেশি রয়েছে। সেই সমস্ত গাছকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন ভাবে বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি বড় ক্রেনের সাহায্যে, পড়ে যাওয়া প্রকাণ্ড গাছকে আবার পুনরায় তুলে দাঁড় করানো সম্ভব হচ্ছে। এ ভাবে গাছ সোজা করার পর প্রায় ৮০ শতাংশ সফলতা রয়েছে।
রাকেশ মাইতি