আরও পড়ুনঃ গরমে জেরবার বাংলা! হুগলিতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হল, প্রতিটি জেলাতেই এমন করা উচিত, কী ঘটল জানেন?
জানা যায়, সেখান থেকে বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। চেষ্টা করেও কোনরকম সাড়া না মেলায়, পাঁচলা দেউলপুরের বাসিন্দা পরিবেশকর্মী শুভজিৎ মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন অর্পণ। অবশেষে শুভজিৎ মাইতির চেষ্টায় ফরেস্ট রেঞ্জারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। রাত ১০:৩০ নাগাদ বন কর্মীরা এসে বাঘরোলটিকে গড়চুমুক নিয়ে যান।
advertisement
উল্লেখ্য শ্যামপুর ২ নং ব্লকের রামনগর, অযোধ্যা, বাসুদেবপুর, শশাটি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বাঘরোলের দেখা মেলে। রাস্তা সম্প্রসারণের পর গাড়ির গতি বেড়েছে। তার ফলে প্রচুর পরিমাণে বাঘরোল, শেয়াল, বন বেড়াল পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। বনদফতর ও বিডিওতে জানানোর পরেও বন্যপ্রাণ বাঁচানোর জন্য ভূমিকা নেয়নি বন বিভাগ বলে অভিযোগ পরিবেশ প্রেমীদের।
শ্যামপুরের স্থানীয় পরিবেশকর্মী অর্পণ দাস বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন বণ্যপ্রাণ সংগঠনের মিলিত প্রচেষ্টায় প্রশাসনের কাছে পথ দুর্ঘটনার বিষয়টা তুলে ধরা হলেও ভ্রুক্ষেপ নেই বন দফতর ও প্রশাসনের। ধীরে ধীরে অবলুপ্তির খাতায় নাম তুলবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যেপ্রাণী তকমা পাওয়া বাঘরোল সেটাই দুঃখের।’
রাকেশ মাইতি