পকেট থেকে মাত্র ৫ টাকা খরচা করলেই এগুলো মিলছে এখন পাড়ার দোকান থেকে। এভাবেই হাওড়ার বালি এলাকা সহ বিভিন্ন বাজারের দোকানে বিক্রি হচ্ছে দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। নাম এক হলেও এগুলোর কোনোটাই সরকারি প্রকল্প নয় বরং এগুলো সব খাবারের প্যাকেট। কোনটিতে রয়েছে চিপস আবার কোনটিতে রয়েছে মশলা মুড়ি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামের প্যাকেট থেকে নাকি পাওয়াও যাচ্ছে পুরস্কারও। তাতেই এর প্রতি কচিকাচাদের আকর্ষণও বেড়েছে।
advertisement
লক্ষীর ভাণ্ডারে আকর্ষিত হচ্ছে একদিকে যেমন রাজ্যের মহিলারা অন্যদিকে সেই রাজ্যের কচিকাচারাও। তবে নাম একই হলেও দুটি জিনিসে সম্পূর্ণ আলাদা। লক্ষীর ভান্ডার সরকারি প্রকল্পে রাজ্যের মহিলারা সুবিধা পাচ্ছেন। ছোটরা ৫ টাকার বিনিময়ে যে লক্ষীর ভান্ডার লেখা প্যাকেট কিনছেন, তা খাবার জাতীয়। ভোটের মরশুমে এমন ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। শাসক দল থেকে বিরোধী সকলেই বিষয়টিকে নিয়ে মুখ খুলছে একে অপরের বিরুদ্ধে।
যদিও শাসক দলের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত নেই বলেই দাবি শাসক দলের। অপরদিকে বিরোধী দল বিজেপির দাবি পঞ্চায়েতের ভোটের আগে এই ধরনের প্রচার অত্যন্ত নিম্নমানের রাজনীতির উদাহরণ।
এ বিষয়ে যদিও শাসক দলকে একহাত নিয়ে এই ধরণের চেষ্টাকে নিম্নমানের রাজনীতির পরিচয় বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাসক দল আর কত নিচে নামতে পারে এটা তাঁর বড় প্রমান। এই খাবারের গুণগত মান এতোই খারাপ যে এটা খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়বে।
এছাড়াও উমেশের অভিযোগ পঞ্চায়েত নির্বাচনে সরকারি প্রকল্পের নাম দিয়ে এই প্যাকেট বাংলার গ্রামে গ্রামে ছোট দোকানে ঝুলিয়ে দিয়ে শাসক দল সস্তার প্রচার ও বিনামূল্যে এই প্যাকেট বিলি করার চক্রান্ত করছেন। এইটা শাসক দলের নিম্নরুচির রাজনীতির পরিচয় বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন, বিপদসীমার কাছে বইছে একাধিক নদীর জল, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা
আরও পড়ুন, তৃণমূলের জন্য তৈরি ‘অ্যান্টিবায়োটিক দাওয়াই’! বেনজির হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এ বিষয়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৈলাশ মিশ্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, ইত্যাদি জনপ্রিয় প্রকল্পগুলো মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। কে বা কারা এই প্যাকেট তৈরি করে বিক্রি করছে, তা তিনি জানেন না। যদিও এর সঙ্গে তাঁদের দলের কেউ যুক্ত নয় বলেই দাবি করেন কৈলাশ। এছাড়াও তিনি জানেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সরকারি প্রকল্পের নামে এটা বিক্রি করা আইনি কিনা সেটা নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে। যদিও তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের সুবিধা তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সকলেই পেয়েছে। তাই কেউ ভালোবেসে এটা করে থাকতে পারে।
রাকেশ মাইতি