শোনা যায় একসময় বড় বড় বাণিজ্যিক নৌকো যাতায়াত করত অনায়াসে এই নদীতে। সাধারণ মানুষের কথায় ষাটের দশকে এই নদীতে বড় নৌকোও চলতে দেখা যেত। প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার নদীপথ সর্বত্রই একই দৃশ্য, ক্রমশ নদী সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ার ছবি। নদী রক্ষা করতে হাওড়ার বহু মানুষ একজট হয়ে, নব্বই দশকের শেষদিকে হাওড়া সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটি গঠিত হয়। হাওড়া থেকে হুগলি নদী পথে একাধিক আন্দোলন। বহু মানুষের আন্দোলনের জেরে শেষমেষ নদী রক্ষা করতে নদীর সংস্করণ কাজ শুরু হয়। হাওড়া জেলা সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটির সম্পাদক প্রণব সরকার জানান, ২০০২ সাল নাগাদ নদী সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সংস্করনের জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৩২ কোটি টাকা। নদীর সংস্করণ কাজ হতে আরো বহু মানুষ সঙ্গ দিতে এগিয়ে এসেছিলেন। তারপর প্রায় দুই দশক সময় পার, তিনি জানান, সরকারিভাবে পরবর্তী সময় থেকে সেভাবে কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
advertisement
একদিকে নদীর উপর আবর্জনা এবং অবৈধ নির্মাণ নদী ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। বর্তমানে সরু খাল থেকে নালায় পরিণত হচ্ছে নদী, দেখলে বোঝার উপায় নেই এককালে এটা যে নদী ছিল। তিনি আরও জানান,যারা কমিটিতে থেকে আন্দোলন শুরু করেছিল তাদের মধ্যে এখন অনেকেই বেচেঁ নেই।ফলে হাওড়া সরস্বতী নদী বাঁচাও কমিটির আন্দোলন বা কর্মসূচি শিথিল হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন আমাদের রক্ষা করতে মানুষকে সচেতন হতে হবে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।এ বিষয়ে সাঁকরাইল বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার জানান, এই নদী শুধু ঐতিহ্য নয় বর্তমানেও এর গুরুত্ব অসীম, নদীপথ ঠিক না রাখলে জল যন্ত্রণার মতো ঘটনা বাড়বে তাই সেইদিক গুরুত্ব রেখে। ইতিমধ্যে ইরিগেশন দফতর নদীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন তাদের সঙ্গে যোগসুত্র রেখে সাঁকরাইল ব্লকও নদী হাল ফেরাতে উদ্যোগী।
রাকেশ মাইতি