মুক্তি ঘটবে মায়ের কৃপায়। এটাই মানুষের বিশ্বাস। মুক্তির আশায় শুরু হয়েছিল শীতলা মাতৃ আরাধনা। তাতেই যেন শান্ত হয় গোটা গ্রাম। এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন হয় বসন্ত। সেই সময় থেকে শুরু হয় মা শীতলার আরাধনা। হিন্দু ধর্মের দেবদেবীর মধ্যে অন্যতম হল মা শীতলা। কথিত রয়েছে, বসন্তর প্রকোপ দেখা দিলে মায়ের আরাধনা করলে মুক্তি মেলে। বসন্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে মধ্য হাওড়ার মানুষ মা শীতলার আরাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও আবার বাড়বে শুষ্কতা! আবহাওয়ার আপডেট জানুন
আজ থেকে প্রায় ১১৭ বছর আগে শুরু হয় এই পুজো। আজও ভক্তি ভরে ডাকলে এখনও ভক্তের ডাকে সাড়া দেন মা, এমনই বিশ্বাস রয়েছে ছোট থেকে বড় সমস্ত এলাকার মানুষের। সেই মতোই আজও শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মা শীতলার পুজো। বিশাল আকার মাতৃ মূর্তি। উচ্চতায় প্রায় ২২ থেকে ২৫ ফুট। লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম ঘটে।
আরও পড়ুন: আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা, ভূগোলে ভাল নম্বর পেতে এগুলি মাথায় রাখতেই হবে
শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় পুজো। দেবীর বিশাল আকার মূর্তি তৈরি করেন স্থানীয় প্রতিমা শিল্পীরা। শুরুতে বসন্তের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে গ্রামের প্রতিমা শিল্পীদের হাতেই মাতৃ মূর্তি তৈরি হয়েছিল। সেই মূর্তি গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরাধনায় মেতেছিলেন। সে রীতি-নীতি আজও অক্ষত এই এলাকায়।
রাকেশ মাইতি